

বাল্যকালের ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার, কিন্তু নিজের ক্লাবকেই এখন দেখছেন অবনমন অঞ্চলে লড়তে। তবু সর্বশেষ ম্যাচে তিন গোল পিছিয়ে থাকা অবস্থায় তাকেই বদলি করে নেওয়া হলে বিস্ময় আর ক্ষোভে মাঠ ছেড়ে যান ব্রাজিলিয়ান তারকা। ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ছয় মিনিট বাকি থাকতে নেইমারের নাম ওঠে বদলির বোর্ডে— আর সেই মুহূর্তেই পরিস্থিতি বদলে যায়।
তিন গোলে পিছিয়ে থাকা সান্তোস তখন মরিয়া হয়ে লড়ছে। সেই সময়েই হেড কোচ হুয়ান পাবলো ভয়ভোদা নেইমারকে তুলে নেন, তাঁর জায়গায় নামান আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন রোলহাইসারকে। সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে নেইমার মাঠ ছাড়ার সময়ই কৌতুক মেশানো বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করেন, “আমাকেই নামিয়ে দিচ্ছ?” মুখে হাসি থাকলেও তার বিরক্তি লুকোনো যায়নি।
মাঠ থেকে উঠে বেঞ্চে বসে খেলা দেখা তো দূরের কথা, তিনি সরাসরি চলে যান ড্রেসিংরুমে। পরবর্তীতে সান্তোস দুই গোল ফিরিয়ে আনলেও পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে ৩২ ম্যাচ শেষে মাত্র ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়ে গেছে অবনমন অঞ্চলের ভেতরেই, নিরাপদ অবস্থানের চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে।
এ মৌসুমে চোট আর ছন্দহীনতায় ভুগছেন ৩৩ বছর বয়সী নেইমার। তবু তিনি বিশ্বাস করেন, সান্তোসকে রক্ষা করতে শেষ কয়েক ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারবেন। কিন্তু ভয়ভোদার সিদ্ধান্ত যেন সেই বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। ম্যাচের বিরতিতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি রেফারিং নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, “রেফারিরা শুধু খারাপই না, অনেক সময় উদ্ধতও,” মন্তব্য করেন তিনি।
সান্তোসের এখনো ছয় ম্যাচ বাকি মৌসুম শেষ হতে, ডিসেম্বরের ৭ তারিখে শেষ হবে তাদের লিগ অভিযান। ঠিক সেই দিনেই শেষ হবে নেইমারের চুক্তিও। সামনে আবারও বিশ্বকাপের বছর— জাতীয় দলে ফেরার আশা রাখছেন তিনি। ইতোমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, ব্রাজিল কিংবদন্তি হয়তো নতুন মৌসুমে যোগ দিতে পারেন বন্ধু লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
এদিকে সান্তোসের সমর্থকরা হতাশ, দল যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি নেইমারের মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ক্লাবের রেলিগেশন লড়াই আর তার ভবিষ্যৎ— দুদিকেই এখন দুশ্চিন্তা বাড়ছে সান্তোসে।
মন্তব্য করুন