

২৮ বছর—দীর্ঘ বিরতি। সেই অপেক্ষার প্রায় শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নরওয়ে। উলেভাল স্টেডিয়ামে এস্তোনিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার একদম দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে তারা।
প্রথমার্ধে সুযোগ ছিল, গোল ছিল না। একের পর এক আক্রমণ তৈরি হলেও জাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিরতির পর বদলে গেল ছবি। মাত্র ১২ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়াল ৩-০—এর আগে এত দ্রুত সবকিছু কখনো এগোয়নি।
৫০ মিনিটে স্টেফান বের্গের মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে নরওয়েকে এগিয়ে দেন আলেকজান্ডার সোরলথ। দুই মিনিটের ব্যবধানে রাইয়ারসনের ক্রস ধরে আরেকটি হেডে ব্যবধান বাড়ান ভিয়ারিয়াল ফরোয়ার্ড।
এরপর আগুন ধরান ম্যানসিটির গোল মেশিন আর্লিং হলান্ড। ৫৬ মিনিটে রাইয়ারসনের আরেক নিখুঁত ক্রস থেকে দারুণ এক হেড, আর ৬২ মিনিটে ডাহলে মোলার উলভের পাস ধরে নিশ্চিত করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। ১২ মিনিটেই ৪ গোল—নরওয়ের দর্শকদের উন্মাদনা তখন তুঙ্গে।
৬৪ মিনিটে রোবি সাআর্মার শক্তিশালী শটে এস্তোনিয়া ব্যবধান কমালেও তাতে ম্যাচের গতিপথ বদলায়নি। বাকি সময়ে নরওয়ে শুধু সময় গুনেছে, শেষ বাঁশি অপেক্ষায়।
সাত ম্যাচে সাত জয়—গ্রুপ আই-এ শীর্ষে নরওয়ে এখন ইতালির চেয়ে তিন পয়েন্ট এগিয়ে, গোল ব্যবধানে বিশাল ১৭ গোলে সুবিধা। রাতে ইতালির দেরিতে পাওয়া ২-০ জয়ের পরও নরওয়ের পথ প্রায় নিশ্চিত।
আর এক ম্যাচ—তাতেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আর ঠিক তখনই এস্তোনিয়া ম্যাচের হেডার দুটো আর হলান্ডের বিধ্বংসী শেষ বাঁশির আগের গোল দুটো স্মরণ করিয়ে দেবে—নরওয়ে কেন এতদিন পর আবার ফুটবল বিশ্বের বৃহত্তম মঞ্চে নাম লেখাতে চলেছে।
মন্তব্য করুন