ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে ওল্ড ট্রাফোডে প্রায় ১৬ বছর পর খেলতে নামে ইংল্যান্ড। এত বছর পর খেলতে নেমেও ওল্ড ট্রাফোডের দর্শকদের হতাশ করেনি গারেথ সাউথগেট শিষ্যরা। চোখ ধাঁধানো ফুটবল নৈপুণ্যে নর্থ মেসোডোনিয়াকে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ১৯৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। থ্রি লায়ন্সদের হয়ে হাটট্রিক করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা, দুটি গোল করেন দলটির অধিনায়ক হ্যারি কেইন এবং একটি করে গোল করেন ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবের খেলোয়াড় মার্কাস রাশফোর্ড এবং কেভিন ফিলিপস।
ইংল্যান্ডের ওল্ড ট্রাফোডে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের ম্যাচে শুরু থেকেই দাপুটে খেলা শুরু করে ইংলিশরা। দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। তবে কাইল ওয়াকারের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলকিপারকে তেমন একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি সাকা।
স্বাগতিকদের বারবার আক্রমণের সামনে শুরুতে দৃঢ়তা দেখায় মেসোডোনিয়া। প্রথমার্ধের লম্বা একটা সময় ঠেকিয়ে রাখে সাকা, কেইন, রাশফোর্ডদের। তবে ২৯তম মিনিটে প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে নর্থ মেসোডোনিয়ার। রাশফোর্ডের পা থেকে লুক শ, তার কাছ থেকে কেইনের ঠান্ডা মাথায় করা ট্যাপ ইন এ বল জালে পৌঁছে যায়।
৩৮ মিনিটে নিজের প্রথম এবং দলের দ্বিতীয় গোল করেন সাকা। আর্সেনালের এই উইঙ্গার ওয়াকারের কাছ থেকে পাওয়া বলে বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন। বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে ব্যবধান আরও বাড়ান রাশফোর্ড। মেসোডোনিয়ার এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল দখল করে কেইন খুঁজে নেন লিভারপুলের জর্ডান হেন্ডারসনকে। টাচলাইন ধরে এগিয়ে লিভারপুলের মিডফিল্ডার বল বাড়ান রাশফোর্ডকে। ছয় গজ দূর থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের ছেলে বাকি কাজ সারেন। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই গতিতে খেলতে থাকে সাউথগেট শিবির। ইউরো ফাইনালিস্টদের চতুর্থ গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৪৭তম মিনিটে ট্রেন্ট-আর্নল্ডের ৫০ গজ দূর থেকে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বুলেট গতির শটে স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন সাকা। চার মিনিট পর আরেকটি গোলে তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
৬৪তম মিনিটে গোল উৎসবে যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার কেভিন ফিলিপস। ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের সপ্তম এবং শেষ গোলটি করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। বাকি সময়ে আক্রমণ করেও আর গোলের দেখা পায়নি থ্রি লায়ন্স শিবির।
চার ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। দিনের অন্য ম্যাচে মাল্টাকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে ইউক্রেন।
২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ইতালি। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে মেসিডোনিয়া, একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। চার ম্যাচের সবগুলো হেরে গ্রুপের তলানিতে আছে মাল্টা।
মন্তব্য করুন