প্রতিপক্ষ হিসেব ফিলিস্তিন মোটেই অচেনা নয় বাংলাদেশের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিকবার দেখা হয়েছে দুদলের। পরিসংখ্যান বলছে, সর্বমোট ছয়বারের দেখায় পাঁচবারই হেরেছে লাল-সবুজেরা। অথচ ২০০৬ সালে ঢাকায় প্রথম দেখায় ফিলিস্তিনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
শক্তি-সামর্থ্যে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা দলকে রুখে দিতে চান বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। তবে এ জন্য কুয়েতে খেলতে হবে বদলে যাওয়া ফুটবল। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের দ্বিতীয়পর্বের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য পয়েন্ট অর্জন।
অন্যদিকে জয় ছাড়া ভিন্ন কোনো লক্ষ্য নেই ফিলিস্তিনের। কারণ আগের দুই ম্যাচে জয় না পাওয়া। গ্রুপের সেরা দুইয়ে থাকতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততেই হবে ফিলিস্তিনের। দুই ম্যাচ থেকে দুদলের পয়েন্ট সমান ১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তৃতীয় পর্বে জায়গা পেতে হলে দুদলেরই পয়েন্ট চাই।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের চাওয়া পূর্ণ তিন পয়েন্ট। আর এক পয়েন্টই বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সৌদি আরবে আবাসিক ক্যাম্পের পর কুয়েতে ম্যাচ খেলতে গেছেন জামাল-তপুরা। ভালো প্রস্তুতির পর আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ দিলেন প্রতিশ্রুতি।
তিনি বলেন, ‘দলের সবাই ভীষণ ইতিবাচক। সৌদিতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় আগে প্রস্তুতির শুরু। সেখানে ১১টি সেশন এবং দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। কুয়েতে এসে ইতিমধ্যে দুটি সেশন হয়েছে। আরেকটি আজ (বুধবার রাতে) ম্যাচ ভেন্যুতে হবে। অবশ্যই অনুশীলনের সময় নিয়ে আমাদের কোনো অনুযোগ নেই। আমাদের হাতে ২৮ জন শতভাগ প্রস্তুত খেলোয়াড় আছে। আমি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী এবং একটা ইতিবাচক ফলাফলের জন্য ছেলেদের সেরাটা দিয়ে লড়াইয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশ্বস্ত।’
দীর্ঘদিন খেলার বাইরে ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। এরপরও সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। সদলবলে ভালো ম্যাচ উপহার দিতে চান তিনি, ‘শেষ ১৬-১৭ দিন আমরা অনেক অনুশীলন করেছি। এক সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সবাই খুব ইতিবাচক আছে। আমরা একটা ভালো ফল চাই বলেই লম্বা সময় প্রস্তুতি নিয়েছি।’
এ সময় প্রতিপক্ষ সম্পর্কে নিজেদের স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমরা জানি ফিলিস্তিন কতটা ভালো দল। তারা এশিয়ান কাপে অনেক ভালো খেলেছে। গ্রুপের অন্যতম শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। আমাদের কোচ ইতিমধ্যে আমাকে সতর্ক করেছে যে ওরা শারীরিকভাবে অনেক শক্তিশালী।’
ফিলিস্তিনকে দারুণ শক্তিশালী দল মেনে নিজেদের রণকৌশল সাজানো হয়েছে বলে জানান জামাল ভুঁইয়া, ‘আমাদের সেটপিস, ক্রসিং এড়িয়ে যেতে হবে যতটা সম্ভব। কারণ ওদের ৯৫ শতাংশ খেলোয়াড় ছয় ফুট উচ্চতার ওপরে। আমাদের নিজেদের পরিকল্পনায় অটল থাকতে, যেটা কোচ আমাদের করতে বলবে, সেটা করাই আমাদের মূল দায়িত্ব।’
এ ম্যাচের আগে বেশ কয়েকজনের সার্ভিস পাবে না বাংলাদেশ। চোটের কারণে রক্ষণের আস্থার প্রতীক তারিক কাজীকে পাবে না কাবরেরা। এ ছাড়া আক্রমণভাগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শেখ মোরসালিনকে ছাড়া খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
আগামী ২৬ মার্চ ঘরের মাঠে ফিলিস্তিনকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ দল। এর আগে ভালো ফুটবলে এ ম্যাচ থেকে কিছু রসদ চান জামাল-তপুরা।
মন্তব্য করুন