গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের কথা জানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সেই সংস্কারের অংশ হিসেবে ভেঙে দেওয়া হয় বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি। একই সঙ্গে অ্যাডহক কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এসব অ্যাডহক কমিটি গঠনের একটি রূপরেখা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
নির্বাহী আদেশের (জিও) মাধ্যমে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থায় অ্যাডহক কমিটি করতে বলা হয়েছে। তিন স্তরেই কমিটিতে ৭ জন করে রাখতে বলা হয়েছে।
বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ক্ষেত্রে পদাধিকার বলে কমিটির আহ্বায়ক হবেন বিভাগীয় কমিশনার। আর জেলা প্রশাসক, জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পালন করবেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়কের দায়িত্ব।
এ ছাড়া তিন স্তরের কমিটিতে সরাসরি ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত (খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি প্রমুখ) দুজন সদস্য হিসেবে, ক্রীড়া সম্পৃক্ত/সংগঠক ছাত্র প্রতিনিধি একজন, ক্রীড়া সাংবাদিক একজন সদস্য হিসেবে জেলা, বিভাগীয় ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থায় রাখতে বলা হয়েছে। স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সর্বজন শ্রদ্ধেয় গ্রহণযোগ্য ক্রীড়ানুরাগী/ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সদস্য হিসেবে থাকবেন।
সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর (সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদর দপ্তর যে জেলায় অবস্থিত সে জেলার), জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সদস্য সচিব পদে থাকবেন জেলা ক্রীড়া অফিসার।
যদি জেলায় জেলা ক্রীড়া অফিসারের পদ শূন্য থাকে তাহলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সে দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
এদিকে ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন কবীর মুঠোফোনে কালবেলাকে জানান, ‘আমরা ক্রীড়া পরিষদ থেকে আজই (মঙ্গলবার) চিঠিটি পেয়েছি। দ্রুত জেলা ও উপজেলাগুলোর ক্রীড়া সংস্থা গঠনে হাত দেব। যতদ্রুত সম্ভব আমরা কমিটি করে ফেলব। কারণ জেলার ক্রীড়া উন্নয়নে কমিটিগুলো যেন দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পারে।’
এনএসসির সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও বলা হয়- বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা প্রশাসক জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য এনএসসিতে প্রেরণ করবে। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠন করে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
যদিও বিভাগীয় ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা পুনর্গঠন নিয়ে কিছুই জানায়নি এনএসসি।
মন্তব্য করুন