

বাংলাদেশের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে তিনি এক পরিচিত নাম—শিরিন আক্তার। দেশে বারবার দ্রুততম মানবীর মুকুট জিতেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই গতি যেন হারিয়ে যায়। এবার সাফ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও হলো না ব্যতিক্রম। ভারতের রাঁচিতে অনুষ্ঠিত নারী ১০০ মিটার স্প্রিন্টে হিটই শেষ করতে পারলেন না তিনি। কয়েক মিটার দৌড়ানোর পরই ট্র্যাক ছেড়ে বেরিয়ে যান বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ দৌড়বিদ।
ঘরোয়া পর্যায়ে দাপট দেখালেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের স্প্রিন্টারদের দুর্বলতা আবারও চোখে পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে শিরিনকে হারিয়ে দ্রুততম মানবীর খেতাব জয়ী সুমাইয়া দেওয়ান সাফ আসরে কিছুটা আশার আলো দেখালেও পদক আনতে পারেননি। ১২.৩৫ সেকেন্ডে ফিনিশ করে তিনি ফাইনালে আটজনের মধ্যে ষষ্ঠ হন। এই ইভেন্টে ভারতের শিভাকিকে ১১.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন—যা বাংলাদেশের সেরা স্প্রিন্টারদের সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
পুরুষদের ১০০ মিটারেও চিত্র প্রায় একই। বাংলাদেশের সাবেক দ্রুততম মানব মো. ইসমাইল ও মোতালেব হোসেন সমান ১০.৮৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন। তবে ফটো ফিনিশে মোতালেব পঞ্চম, ইসমাইল ষষ্ঠ হন। ভারতের হারষ রাওত ১০.৪২ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জেতেন।
জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনার আশায় বুক বাঁধা অ্যাথলেটরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাস্তবতার কঠিন দেয়ালে ধাক্কা খেলেন। রাঁচির ট্র্যাকে বাংলাদেশের স্প্রিন্টারদের ফলাফল আবারও মনে করিয়ে দিল—ঘরোয়া শিরোপা জেতা যত সহজ, দক্ষিণ এশিয়ার মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তত কঠিন।
মন্তব্য করুন