কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বে শিশু লালন-পালনে সেরা পাঁচ দেশের তালিকা ইউনিসেফের

ছবি : সংগৃহীত।
ছবি : সংগৃহীত।

প্রতিটি বাবা-মা চান, সন্তান যেনো একটি নিরাপদ ও সুখী পরিবেশে বেড়ে ওঠে। শিশুর সুস্থতা, সুশিক্ষা ও মানসিক প্রশান্তির কথা মাথায় রেখে ইউনিসেফ সম্প্রতি শিশুদের জন্য সেরা পাঁচটি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। এখানে রয়েছে এমন পাঁচটি দেশ যেখানে শিশুরা সুস্থ, সুরক্ষিত এবং আনন্দময় পরিবেশে বড় হতে পারে।

জাপান: জাপান শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। এখানে ট্রাফিক দুর্ঘটনা বা সহিংসতা অনেক কম, তাই শিশুরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে। জাপানে শিশু মৃত্যুর হার এবং শিশুর শারীরিক সমস্যাগুলোর হারও খুব কম। এছাড়া, শিশুদের জন্য সেরা শিক্ষাব্যবস্থারও অন্যতম উদাহরণ এই দেশ। চাকরিজীবী মা-বাবার জন্য রয়েছে দীর্ঘ ছুটির ব্যবস্থা, যাতে তারা সহজে পরিবার এবং কাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন।

এস্তোনিয়া: এস্তোনিয়ার শিশুরা দারুণ নিরাপদ এবং দূষণমুক্ত পরিবেশে বড় হতে পারে। এখানে ছোটদের জন্য পার্ক, খেলার মাঠসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। দেশটির মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থাও অনেক উদার; মা-বাবারা দীর্ঘসময় ধরে সন্তানের পাশে থাকতে পারেন। শিশুরা যাতে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সেই জন্য দেশের পরিবেশবান্ধব নীতিগুলো বিশেষভাবে সাহায্য করে।

স্পেন: স্পেনে শিশুরা বিশুদ্ধ বায়ু ও পানি, কম শিশুমৃত্যু হার এবং একটি নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে। এখানে মা-বাবারা সন্তানের দেখাশোনা ও নিজেদের জন্য ছুটি নিতে পারেন। স্পেনে শিশুরা মানসিক ও সামাজিকভাবে সুস্থ থাকার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা। এটি একটি এমন দেশ, যেখানে বাবা-মায়েরা কর্মজীবনের পাশাপাশি পরিবারের দেখাশোনা করতে পারেন।

ফিনল্যান্ড: ফিনল্যান্ডে শিশুরা দুর্দান্ত শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ পায়, যা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এখানে বাবা-মায়েদের জন্য রয়েছে বেতনভুক্ত ছুটির ব্যবস্থা, যা পরিবারকে একসঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়। ট্রাফিক ও স্কুলের আশপাশে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করায় শিশুরা এখানকার সবুজ স্থানগুলোতে দারুণ উপভোগ করতে পারে।

নেদারল্যান্ডস: নেদারল্যান্ডস শিশুর মানসিক ও সামাজিক প্রশান্তিতে বিশ্বের সেরা। এখানে শিশুরা বন্ধুদের সঙ্গে সহজেই বন্ধুত্ব করতে পারে এবং তাদের জীবনের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে। মা-বাবারা সন্তানের জন্মের পর ১৬ সপ্তাহের বাধ্যতামূলক ছুটি পেয়ে থাকেন, যা শিশুর সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে সাহায্য করে।

উল্লিখিত দেশগুলোয় শিশুরা শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। বাবা-মায়েরা যদি সন্তানের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও সুখী পরিবেশ চান, তবে এই দেশগুলো হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্যের আদর্শ পছন্দ।

সূত্র : বিবিসি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়ি ফেরা হলো না ফল ব্যবসায়ী মধুউল্লাহর

বিভিন্ন থানায় পুলিশ টাকা ছাড়া কথা শোনে না : সারজিস

বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজের শিক্ষকদের

যে আসন থেকে নির্বাচন করতে চান রেজা কিবরিয়া

অস্তিত্ব সংকটে ষাটগম্বুজ মসজিদ, ক্ষয়ে গেছে ১০ মিহরাব

কম্পিউটার কেনার সময় যেসব বিষয় জানা জরুরি

রোহিত-কোহলির পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে যা জানাল টিম ম‍্যানেজমেন্ট

দেশের আদালতে প্রথম কোনো ব্রিটিশ এমপির সাজা 

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজকে জরিমানা

বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

১০

প্লট দুর্নীতি / রেহানার ৭, হাসিনার ৫ ও টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড

১১

আবারও বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম

১২

শতবর্ষী বৃদ্ধার ঘর তৈরি করে প্রশংসায় ভাসছে ছাত্রদল

১৩

বিপিএলে চমক: রংপুর রাইডার্সে ইতালির ক্রিকেটার—কে তিনি

১৪

সাবেক ইউপি সদস্যকে গলা কেটে হত্যা

১৫

বিশ্বকাপে অংশ নিতে মালদ্বীপ গেল বাংলাদেশ

১৬

সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেল ৩টি জাহাজ

১৭

সায়েন্স ল্যাবে শিক্ষার্থীদের অবরোধ

১৮

এবার বিএনপিতে রেজা কিবরিয়া, আজ যোগদান

১৯

শীতের আকাশে এক নরম আলো নিয়ে আসছে কোল্ড মুন

২০
X