কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শেষ ১০ দিনে ৩২২ শিশু নিহত : জাতিসংঘ

গাজার যেসব শিশু স্বপ্ন দেখত, যাদের উচ্চাশা ছিল, যারা জীবনে বড় কিছু করতে চাইত, তারা আজ হারিয়ে গেছে। ছবি : সংগৃহীত
গাজার যেসব শিশু স্বপ্ন দেখত, যাদের উচ্চাশা ছিল, যারা জীবনে বড় কিছু করতে চাইত, তারা আজ হারিয়ে গেছে। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলের নতুন করে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অন্তত ৩২২ শিশু নিহত এবং ৬০৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ।

সোমবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি-র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, নিহত ও আহত শিশুদের মধ্যে অনেকে ২৩ মার্চ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আল নাসের হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়। সংস্থাটি বলছে, অধিকাংশ নিহত শিশুই বাস্তুচ্যুত ছিল এবং তারা অস্থায়ী তাঁবু বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।

২০২৩ সালে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর টানা কয়েক মাসের সংঘর্ষের পর চলতি বছরের সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। তবে ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল ফের ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে এবং স্থল অভিযান চালায়, যা গাজায় শিশুদের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি শিশুদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠতে পারতো, যা পুনরুদ্ধারের সুযোগ দিত। কিন্তু তারা আবারও প্রাণঘাতী সহিংসতা ও দুর্দশার শিকার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সব পক্ষের উচিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে, ৩৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছে এবং ১০ লাখের বেশি শিশু বারবার বাস্তুচ্যুত হয়ে মৌলিক সেবাসমূহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

ইউনিসেফ দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান এবং ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলের আরোপিত মানবিক সহায়তা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, অসুস্থ ও আহত শিশুদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

ইউনিসেফ আরও বলেছে, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সহায়তা ক্রমেই সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে। এগুলোর অভাবে অপুষ্টি, রোগব্যাধি এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য সমস্যা বাড়বে, যা শিশুদের মধ্যে আরও মৃত্যু ডেকে আনবে।

সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, বিশ্ব এ হত্যাযজ্ঞ ও শিশুদের দুর্ভোগকে নির্বিকারভাবে দেখতে পারে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মশালা স্থগিত 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা মদের আস্তানার সন্ধান

চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হলেন ঢাকার অর্থঋণ আদালতের মুজাহিদুর

স্মিথের চোখের নিচে ‘কালো টেপ’, জানা গেল আসল কারণ

মানিকগঞ্জে শুরু হয়েছে খেঁজুরের রস আহরণের প্রস্তুতি

হুমকির পর মাঠে মিলল কৃষকের গলাকাটা মরদেহ

কেন নাতনিকে বিয়ে দিতে চান না জয়া বচ্চন?

নবজাতকের টিকা কার্ড করতে দিতে হয় টাকা

কবে শুরু হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, জানাল শ্রীলঙ্কা

খুব প্রেম করতে ইচ্ছা করছে: স্বস্তিকা দত্ত

১০

এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩

১১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কঠোর বার্তা

১২

উঠান থেকে শিয়ালে টেনে নিয়ে গেল শিশুটিকে

১৩

দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই জিয়া পরিবারের শক্তি : তারেক রহমান 

১৪

রাতের আঁধারে অর্ধশতাধিক বনজ গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা

১৫

দুপুরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাবেন ডা. এ জেড এম জাহিদ 

১৬

পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না আ.লীগ নেত্রী শাহনাজের

১৭

ভয়ংকর এই যুদ্ধবিমান বিশ্বের মাত্র একটি দেশেই আছে

১৮

আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে নয়াদিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত? 

১৯

স্ত্রীর জন্য নায়িকাদের সঙ্গে রোমান্স করতে ভয় পান কপিল

২০
X