বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। ছোট-বড় প্রায় সব বয়সী লোকরাই বিভিন্ন ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকেন। আর ফোন ব্যবহারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মোবাইল ডাটা। রাউটার ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির ডাটা প্যাক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় ও পরিমাণ থাকায় এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। কিছু কৌশল ব্যবহার করলে ডাটা খরচ কমতে পারে।
নিচে ৮টি কৌশল বর্ণনা করা হলো।
১. অটো-ডাউনলোড বন্ধ : হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপে ছবি, অডিও, ভিডিও অটো-ডাউনলোড হয়ে যায়। এতে ডাটা দ্রুত শেষ হয়।
হোয়াটসঅ্যাপে যান → Settings → Storage and Data → Auto-download সেটিংসে গিয়ে সব কিছু ‘Wi-Fi only’ করে দিন।
২. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল : আপনি যে অ্যাপ প্রায় ব্যবহারই করেন না, কিন্তু ফোনে বসে আছে- তা হয়তো চুপচাপ ডাটা খরচ করছে। এমন অ্যাপ ডিলিট করলে ফোন হালকা হবে, আবার ডাটাও বাঁচবে।
৩. ডাটা ব্যবহারের হিসাব : সেটিংসে গিয়ে ‘ডাটা ইউজেস’ অপশন থেকে কোন অ্যাপ কতটুকু ডাটা খাচ্ছে, তা দেখে নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করুন।
৪. মোবাইল ডাটার জন্য ‘ডেটা সেভার’ মোড চালু : অ্যানড্রয়েড ও আইফোনে আলাদাভাবে ডেটা সেভার ফিচার থাকে। এটি চালু করলে ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা অ্যাপগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না, ফলে অপ্রয়োজনীয় ডাটা নষ্ট হয় না।
অ্যানড্রয়েড : Settings → Network & Internet → Data Saver
আইফোন : Settings → Mobile Data → Low Data Mode
৫ . ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা রেস্ট্রিকশন : অনেক অ্যাপ আপনাকে না জানিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে (যেমন- Facebook, WhatsApp)। Settings-এ গিয়ে নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ করে দিন।
৬. ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের রেজুলেশন কমানো : ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক এবং নেটফ্লিক্স এসব অ্যাপে ভিডিও দেখার সময় ৭২০ পিক্সেল বা ১০৮০ পিক্সেলের বদলে ৩৬০ পিক্সেল বা ৪৮০ পিক্সেলে ভিডিও দেখুন। এতে এক ভিডিওতেই ৫০–৭০% ডাটা বাঁচে।
৭. হটস্পট ব্যবহারে সাবধানতা : মোবাইলের হটস্পট চালু থাকলে অনেক সময় পেছনে অন্য ডিভাইস ডাটা খেয়ে ফেলে। তাই হটস্পট অন রাখলে মনে রাখুন, কারা সংযুক্ত এবং কী করছে।
৮. ডেটা সেভার চালু : গুগল ক্রোম বা অপেরা মিনি ব্রাউজারে ডেটা সেভার অপশন চালু রাখলে ব্রাউজিংয়ের সময় কম ডাটা খরচ হয়। ক্রোমে : Settings → Lite Mode (এটি কিছু সংস্করণে Data Saver নামে থাকে)
মন্তব্য করুন