

অনেক সময় আমাদের অন্যের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হয়। তখন ব্রাউজারে লগইন করা বা কিছু খোঁজাখুঁজি করলে সেই তথ্য ওখানেই থেকে যেতে পারে। এ সমস্যা এড়ানোর জন্য ব্রাউজারের ইনকগনিটো বা প্রাইভেট মোড বেশ কাজে আসে। অনলাইন গোপনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ার কারণে এখন এর ব্যবহারও বেড়ে গেছে।
ইনকগনিটো মোড চালু করলে ব্রাউজার আপনার তথ্য স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ করা বন্ধ করে দেয়। যেমন-
- আপনি কোন ওয়েবসাইটে গিয়েছেন, এগুলো ইতিহাসে থাকে না
- যে কুকি বা সাইট ডেটা তৈরি হয়, উইন্ডো বন্ধ করলে সেগুলো মুছে যায়
- অটো-ফিল, ফরম পূরণের তথ্য বা সেভ করা পাসওয়ার্ড, এসব ব্যবহার হয় না
তবে ইনকগনিটো মোডেও কিছু জিনিস থেকে যায়। যেমন- আপনি কোনো ফাইল ডাউনলোড করলে বা বুকমার্ক করলে তা কম্পিউটারেই থাকে। তাই শেয়ার করা কম্পিউটারে নিজের তথ্য না রাখার জন্য এটি বেশ উপকারী।
ইনকগনিটো মোডের সীমাবদ্ধতা
নাম ‘প্রাইভেট’ হলেও এই মোড আপনাকে পুরোপুরি অদৃশ্য করে না। কারণ -
- আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিক আইএসপি বা অফিসের নেটওয়ার্ক দিয়েই যায়, তারা দেখতে পারে আপনি কোন সাইটে গেছেন
- ওয়েবসাইটগুলোও ট্র্যাকিং প্রযুক্তি বা আপনার লগইন করা অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনাকে চিনতে পারে
- আপনার আইপি ঠিকানাও দেখা যায়, আইপি ঠিকানা লুকাতে হলে ভিপিএন প্রয়োজন
- ইনকগনিটো মোড ভাইরাস, কিলগার বা ফিশিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো সুরক্ষা দেয় না
ইনকগনিটো মোড চালু করার উপায়
গুগল ক্রোম: থ্রি ডট মেনু → New Incognito Window
শর্টকাট: Ctrl + Shift + N (Windows), Command + Shift + N (Mac)
অ্যাপল সাফারি: File মেনু → New Private Windowশর্টকাট: Shift + Command + N
iPhone/iPad: Tab আইকনে চাপ দিন → Private মোড নির্বাচন করুন।
বিকল্প উপায়
শুধু ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করলে অনলাইন ট্র্যাকিং পুরোপুরি বন্ধ হয় না। আরও ভালো গোপনীয়তার জন্য—
- ভিপিএন ব্যবহার করলে আইপি লুকায় এবং ডেটা এনক্রিপ্ট হয়
- TOR ব্রাউজার বেশি সুরক্ষিত, তবে একটু ধীর
- গোপনীয়তাকেন্দ্রিক ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন কিছুটা নজরদারি কমাতে সাহায্য করে
ইনকগনিটো মোড মূলত লোকাল কম্পিউটারে আপনার তথ্য লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তবে পুরোপুরি অনলাইন গোপনীয়তার জন্য ভিপিএন, টর ব্রাউজার বা প্রাইভেসি-ফোকাসড সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করাই সবচেয়ে কার্যকর।
মন্তব্য করুন