গণমাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূর করতে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে ‘রিজিওনাল সামিট অব সাউথ এশিয়ান ফেমিনিস্ট জার্নালিস্ট অ্যান্ড এক্টিভিস্ট’র বক্তারা। শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সামিটের এ আহ্বান জানানো হয়। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার নারী সাংবাদিক ও কর্মীদের সামিটে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্টিকেল-নাইনটিন’র সিনিয়র গ্রোগ্রাম অফিসার রুমকি ফারহানা।
সামিটের বিস্তারিত তুলে ধরেন আর্টিকেল-নাইনটিন’র দক্ষিণ এশিয়ার গ্রোগ্রাম অফিসার শাহনেওয়াজ। নারী ক্ষমতায়নের ওপর উপস্থাপনা করেন ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল আটর্স বাংলাদেশের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ আবেদুর রাজ্জাক খান। নিজ দেশের নারী সাংবাদিকদের অবস্থা তুলে ধরেন নেপালের সাংবাদিক মাধু সাই। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার।
মাধু সাই বলেন, নেপালে ১৩ হাজার সাংবাদিকের মধ্যে নারী মাত্র দুই হাজার। তারা ঘরে, সমাজ, কর্ম ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন। বাংলাদেশের পরিস্থিতিও খুব বেশি পার্থক্য নয় উল্লেখ করে ইউল্যাব শিক্ষক আহমেদ আবেদুর রাজ্জাক খান বলেন, এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় নারীর সৌন্দর্য ব্যবহার হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, যদিও ট্রান্স জেন্ডার গণমাধ্যমে কাজ করতে শুরু করেছে, তবে তা খুব কম। গণমাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করতে আরও কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাজনীন নাহার বলেন, এখন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি অনলাইন মিডিয়াতে মেয়েরা কাজ করছে। কিন্তু মেয়েরা যখন সাইবার সিকিউরিটিজনিত সমস্যায় পড়েন, তখন তার পাশে প্রতিষ্ঠান দাঁড়ায় না।
রুমকি ফারহানা জানান, আর্টিকেল-নাইনটিন গণমাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূর করতে অ্যাডভোকেসি করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন