বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, মেয়েদের সম্মান-মর্যাদা অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় বাধা হচ্ছে তাদের প্রতি নির্যাতন। পরিবারের মধ্যে মেয়েদের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে তাদের বাঁচিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্দোলন, সমতার আন্দোলন কেবল ব্যক্তি আন্দোলন নয়। এমতাবস্থায় সবাইকে সচেতনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’- প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নারীর ও কন্যা নির্যাতন প্রতিরোধে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা বলেন- সংগঠন যাদের আইনি সহায়তা দিয়েছে তাদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন, পরামর্শ ও আইনি সহায়তা সেবাদানের ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করতে হবে। সকলে মিলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশেরমতো বাংলাদেশের মেয়েরা বিভিন্নভাবে সহিংসতার ও বৈষম্যর শিকার হচ্ছে। যা তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে অন্যতম বড় বাধা। নির্যাতনের ভয়াবহতা কাটিয়ে ভুক্তভোগীদের সুবিচার, ন্যায়িবিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করে তাদের সমাজে মূলধারার জীবনে পুনর্বাসিত করার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ চেষ্টা করে যাচ্ছে ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর বলেন, আইনগত বিধান অনুসারে নারীর কি কি ধরনের অধিকার জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তা আগে জানতে হবে। তারপর অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করতে হবে। বাস্তবে অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
উপস্থিত প্যানেল আইনজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আমিনুল বলেন, নারী নির্যাতন এখনও বন্ধ হয়নি। আইন প্রণয়ন হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা নিরপেক্ষভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করলে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পেতে সক্ষম হবেন। নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের শিক্ষিত হতে হবে, সাহসী হতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। মুক্ত আলোচনায় আইনীসেবা গ্রহণ কারীদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ডা. তাহসিনা ফাহমিদা সিদ্দিকী, রাসেল মাহমুদ, সাবিকুন্নাহার মুক্তা, রুনা আক্তার, ফারজানা, আনু ইসলাম, তানিয়া ইসলাম, শাহনুরী আমিন, অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আহাম্মদ হাশেম রাজন।
মন্তব্য করুন