‘পাওনা টাকার জন্য গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, বিষপানে ‘আত্মহত্যা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অভিযোগ গ্রহণ করেছে।
রোববার (২ জুন) মানবাধিকার কমিশন লিখিত বক্তব্যে তা নিশ্চিত করেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কুড়িগ্রাম রাজীবপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে ফোন করে এ বিষয়ক সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে পেরেছে।
অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর আওতায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। প্রধান আসামি জয়নালসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্তকাজ সমাপ্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
সংবাদ প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় ধার নেওয়া ২০ হাজার টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করতে যায়। থানায় পৌঁছানোর আগেই রাজীবপুর ইসলামী ব্যাংকের সামনে পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম, আমেজ উদ্দিন ও জয়নাল পথরোধ করে বাসায় ফিরে যেতে বলে। রাতে বাড়িতে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দেয়।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমরা বাসায় ফিরে এলে গত ২৩ মে রাতে কনস্টেবল রবিউল, পুলিশের গাড়িচালক মোজাহারুল ইসলাম, জয়নাল, সোলেমান ও শুক্কুর আমার বাড়িতে আসে। তারা আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে চায় এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। আমি টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানাই।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার স্বামী ২৪ মে বিষপান করেন। এতে স্বামী বেঁচে গেলেও ওই গৃহবধূ ২৯ মে দুপুরে মারা যান। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি শিশুসন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মৃত্যুর আগে ২২ মে স্থানীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া গৃহবধূর একটি অডিও রেকর্ডে পাওনা টাকার জন্য উপজেলা সদরের হলোপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, তার সহযোগী শুক্কুর ও সোলেমানের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। ২০ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের অডিওতে গৃহবধূ নির্যাতনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পেশায় কসাইয়ের কাজ করেন। রাজীবপুর বাজারে তাদের মাংসের দোকান আছে।
মন্তব্য করুন