মালি থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখা ৪৬০ জনেরও বেশি মিসরীয় সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষা মিশন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) শান্তিরক্ষীদের তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, মিশনের অন্যতম বড় ভূমিকা পালন করা বাংলাদেশ, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো এবং আইভরি কোস্টের সৈন্যরাও আগামী দিনে দেশটি ছাড়বেন।
আরও পড়ুন : আতঙ্কে নাইজার ছাড়ছে ইউরোপীয়রা
গত জুনে মালির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার দাবি করে, মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন গত এক দশকে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় জিহাদিদের দমনে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে মিশনের ১৫ হাজার আন্তর্জাতিক সৈন্যকে আর স্বাগত জানানো হবে না।
বেসরকারি সংস্থা ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, মালিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (এমআইএনইউএসএমএ) দেশটিতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা ও বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটি থেকে মিশন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সেখানে অরাজকতা তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন : নাইজারে মানবিক সহায়তা স্থগিত করল জাতিসংঘ
প্রসঙ্গত, সাহেল অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো মালিও কয়েক বছর ধরে ইসলামী চরমপন্থিদের বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো লড়াই করছে। ফরাসি নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর সহায়তায় ২০১৪ সালে পরিচালিত এক অভিযানে মালির উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই বিদ্রোহীরা মরুভূমিতে পুনরায় সংগঠিত হয় এবং মালির সেনাবাহিনী ও তার সহযোগীদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এর কয়েক মাস পর দেশটিতে পৌঁছান জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। যা বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক এক মিশন হয়ে ওঠে শান্তিরক্ষীদের জন্য।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১৭০ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন