তিউনিসিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলী লারাইদকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে দেশটির আদালত। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দায়ের মামলায় শুক্রবার তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদি যোদ্ধা পাঠাতে সহায়তা করেছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসলামপন্থী দল এননাহদার এই নেতা ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর তিউনিসিয়ায় অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতায় ছিলেন এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
তার আইনজীবী ওসামা বুথেলজা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠন এবং তিউনিসিয়ান নাগরিকদের জিহাদি গোষ্ঠীতে পাঠানোর অভিযোগে লারাইদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে লারাইদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ১৮ এপ্রিল তিনি তিউনিসিয়ার প্রসিকিউটর অফিসে লেখা এক চিঠিতে বলেন, ‘আমি অপরাধী নই, বরং ভুয়া মামলার শিকার।’
শুক্রবার আদালতের দেওয়া রায়ে, নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক দুই সদস্য ফাতি আল-বালদি ও আব্দুল করিম আল-আবিদিকেও ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রেডিও মোসাইকি জানিয়েছে, মামলায় মোট আটজনকে ১৮ থেকে ৩৬ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি প্রেসিডেন্ট সাইদের সমালোচকদের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়নের আরেকটি নজির।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫,৫০০ তিউনিসিয়ান নাগরিক ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় ইসলামিক স্টেটসহ বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীর হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল।
মন্তব্য করুন