যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা জান্তা সরকারের নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর। আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক পর্যবেক্ষণে এসভিআর এ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে আরটি।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে রেখেছে সামরিক সরকার।
তাদের এ সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও প্রতিবেশী পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস। সেনা অভ্যুত্থানের পর নাইজারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইকোওয়াস। ক্ষমতাচ্যুত সরকার পুনর্বহালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকিও দিয়ে রেখেছেন ইকোওয়াসের নেতারা। ইকোওয়াসের এমন পদক্ষেপে সমর্থন জুগিয়ে আসছে ফ্রান্স।
এসভিআর বলছে, সেনা অভ্যুত্থানে পশ্চিমাপন্থি বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুতির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট নয়। বাজুম সরকারকে ক্ষমতায় ফেরাতে ইকোওয়াসের সামরিক হস্তক্ষেপের ওপর নির্ভর করতে চাইছে না হোয়াইট হাউস। ওয়াশিংটন মনে করছে ইকোওয়াসের সামরিক হস্তক্ষেপের চেয়ে কারও মাধ্যমে গুপ্ত হত্যা ভালো সমাধান হবে।
নাইজারে হত্যাযজ্ঞ চালাতে অংশীদারদের সঙ্গে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিরা সরাসরি আলোচনা করছেন বলেও অভিযোগ করেছে রুশ গোয়েন্দা সংস্থাটি। আর এ কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দের তালিকায় এমন ব্যক্তিদেরে রাখা হয়েছে যারা মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের স্কুল থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভেতরেই বাস করে।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগেও বিভিন্ন সময় বিদেশের মাটিতে গুপ্তহত্যা চেষ্টার রেকর্ড রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর। কঙ্গোর নেতা প্যাট্রিস লুমুম্বা ও কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছিল তারা।
মন্তব্য করুন