পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। সামরিক সরকারের এমন পদক্ষেপে ফ্রান্স তথা পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের আরও অবনতি হলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ নাইজারে সম্প্রতি ফ্রান্সবিরোধী মনোভাব বেড়েই চলেছে। জনগণের এই মনোভাবকে কাজে লাগাতে প্রতিবেশী মালি ও বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকারের দেখানো পথেই হাঁটছে নাইজারের জান্তা সরকার।
নাইজারে ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তে ও তার পরিবারের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিলভাইন ইত্তেকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে জান্তা সরকার। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানালেও বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে পরের দিন বৃহস্পতিবার সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে রেখেছে সামরিক সরকার।
তাদের এ সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও প্রতিবেশী পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস। সেনা অভ্যুত্থানের পর নাইজারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইকোওয়াস। ক্ষমতাচ্যুত সরকার পুনর্বহালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকিও দিয়ে রেখেছেন ইকোওয়াসের নেতারা। ইকোওয়াসের এমন পদক্ষেপে সমর্থন জুগিয়ে আসছে ফ্রান্স।
গতকাল ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক নেতাদের তাদের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্ককারের কোনো এখতিয়ার নেই। ফরাসি দূতাবাসের নিরাপত্তা ও পরিচালনার অবস্থা প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফরাসি রাষ্ট্রদূত নাইজারে থাকবেন। একই সঙ্গে তিনি বাজুমের প্রতি ফ্রান্সের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন