সুদানের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের নেতা আবদেল রহিম হামদান দাগালোর (আবদেল রহিম) পর এবার আরএসএফের আরেক কমান্ডার আব্দুল রহমান জুমার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষে এক বিবৃতিতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে আরএসএফ জেনারেল ও পশ্চিম দারফুরের সেক্টর কমান্ডার আব্দুল রহমান জুমার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৫ জুন জেনারেল জুমার নেতৃত্বে আরএসএফ বাহিনী পশ্চিম দারফুরের গভর্নর খামিস আব্বাকার ও তার ভাইকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। খামিস আরএসএফের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তারা এ কাজ করেছে।
বর্তমানে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় সুদানের আধাসামরিক বাহিনীর নেতা আবদেল রহিম হামদান দাগালোর (আবদেল রহিম) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।
এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবদেল রহিমের নেতৃত্বে আরএসএফ সদস্যরা সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে আছে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জাতিগত হত্যাকাণ্ড, যৌন সহিংসতার ব্যবহার।
এ বছর ১৫ এপ্রিল আরএসএফ এবং সুদানিজ আর্মড ফোর্সেসের (এসএএফ) মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তখন থেকে উভয়পক্ষই অস্ত্রবিরতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। আরএসএফ এবং মিত্র মিলিশিয়ারা দারফুর এবং অন্যান্য স্থানে বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
ট্রেজারি ফর টেরোরিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সে আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, সুদানে মারাত্মক এবং বিস্তৃত মানবাধিকার লঙঘনের জন্য দায়ী যারা তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে এই নিষেধাজ্ঞা।
আবদেল রহিম আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ নেতা। তিনি আরএসএফের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালোর ভাই।
মন্তব্য করুন