লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শহীদ করপোরাল মাসুদ রানার অপেক্ষায় স্বজন ও এলাকাবাসী

শহীদ মাসুদ রানার মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা। ছবি : কালবেলা
শহীদ মাসুদ রানার মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা। ছবি : কালবেলা

দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা করপোরাল মাসুদ রানাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে সকাল থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ড্রোন হামলায় নিহত বীর সেনানীর বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাসুদ রানার মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার করিমপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণের কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে একটু দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। পরে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে মাসুদ রানাসহ শহীদ ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহীদ মাসুদের গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন এলাকার লোকজন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হেলিকপ্টারে শহীদ মাসুদ রানার মরদেহ আনা হবে তার নিজ গ্রামে। সেখানে পৌঁছানোর পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় স্থানীয় কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য করিমপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে অস্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

মাসুদ রানা উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের বড় ছেলে। ২০০৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। দীর্ঘ ১৯ বছর তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মাসুদ রানার মেজো ভাই মনিরুল ইসলাম এবং ছোট ভাই রনি আলমও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য।

স্বজনরা জানান, গত ৭ নভেম্বর স্ত্রী ও আট বছরের একমাত্র কন্যা মাগফিরাতুল মাওয়া আমিনাকে রেখে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে সুদান যান মাসুদ রানা। মিশন শুরুর মাত্র এক মাস সাত দিনের মাথায় গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় ড্রোন হামলায় তিনি শহীদ হন।

নাটোর স্টেডিয়ামের আর্মি সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর বলেন, নিহত শান্তিরক্ষী শহীদ মাসুদের দাফন সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ওই হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ৬ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হন। তাদেরই একজন নাটোরের লালপুরের সন্তান করপোরাল মাসুদ রানা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শহীদ হাদির সমাধিস্থলের ভাইরাল ছবিটি বানোয়াট : ডিএমপি

নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল তুষারের লাশ

রাবিতে আ.লীগপন্থি ডিনদের অফিসে তালা

জ্ঞান ফিরেই রোগীর চিৎকার, তার ভালো পায়ে অপারেশন হয়েছে

কে হবেন রাজশাহীর অধিনায়ক, যা জানালেন কোচ

মবকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা 

হাত-পা ঝিনঝিন বা তালু চুলকাচ্ছে? হতে পারে শরীরের সতর্কবার্তা

জকসু নির্বাচনে শিবিরের ২১ দফা ইশতেহার

বাবাকে নয় ,মাকে উৎসর্গ করতে চাই জীবনের প্রথম পুরস্কার: আরিয়ান

যে খাবারগুলো শুক্রাণু কমাতে পারে বলে জানাচ্ছে গবেষণা

১০

হাতিয়ায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর

১১

বাংলাদেশের জুটি জুমার-ঊর্মির রৌপ্য পদক জয়

১২

রাজধানীতে ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার

১৩

তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ

১৪

দিপু হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২

১৫

মবোক্রেসি কঠোরহস্তে দমন করতে হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

১৬

কম্বোডিয়া জাতীয় দলে যেভাবে ডাক পেলেন বাংলাদেশের শুয়াইব

১৭

বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য আটক

১৮

রাতের খাবারের পরও ক্ষুধা? কারণ জানলে অবাক হবেন

১৯

শহীদ করপোরাল মাসুদ রানার অপেক্ষায় স্বজন ও এলাকাবাসী

২০
X