কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪০ এএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমার জান্তার ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধবিরতি বুধবার (২ এপ্রিল) শুরু হয়ে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভি এ খবর নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্স।

এমআরটিভির বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কাজের জন্য এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা পরে ৬.৪ মাত্রার পরাঘাত দ্বারা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এতে অন্তত তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু ভবন ও সেতু ধ্বংস হয়েছে।

এখন পর্যন্ত, সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি চলাকালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো হামলা চালানো বা নতুনভাবে সংগঠিত হওয়া থেকে বিরত থাকবে। অন্যথায়, সেনাবাহিনী ‘প্রয়োজনীয়’ ব্যবস্থা নেবে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহর, যেমন মান্দালয়, সাগাইং, নেপিডো ও অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার ভবন ও সেতু ভেঙে গেছে এবং সড়ক-মহাসড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে, তবে বেশিরভাগ উদ্ধারকারী দল মরদেহ উদ্ধার করছে, যদিও কিছু জায়গায় জীবিত ব্যক্তিও উদ্ধার করা হয়েছে।

এমআরটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩–এ পৌঁছেছে, আর আহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং প্রায় দুই কোটি মানুষের সহায়তা প্রয়োজন। ভূমিকম্পের কারণে মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।

এদিকে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানায়, ১ এপ্রিল একটি ত্রাণ বহরে গুলি চালানো হয়েছে। চীনা রেড ক্রসের গাড়িবহরটি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের গুলি করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ত্রাণ বহরের চলাচলের বিষয়ে আগে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি, তাই নিরাপত্তার কারণে গুলি চালানো হয়েছে।

এটি মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রে অবস্থিত শান রাজ্যের নওংখিও টাউনশিপের কাছে ঘটেছে, যেখানে সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হিন্দু-মুসলিম আমরা এক বৃন্তে দুটি ফুল : মির্জা ফখরুল

বিবাহিতদের এএসপি পদে নিয়োগ না করার প্রস্তাব

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষ ঘেরাও কাস্টমস-ট্যাক্সের কয়েকশ কর্মকর্তার

উত্তরায় অপহরণের ঘটনায় প্রাইভেটকারসহ গ্রেপ্তার ২

ছেলেকে হত্যা করে থানায় বাবার আত্মসমর্পণ

পাকিস্তানের পারমাণু অস্ত্র কোথায় মজুত আছে?

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

টেস্টে ফেল করেও পরীক্ষার টেবিলে বসবে সেই ৫০ শিক্ষার্থী!

১৭ বছর পর বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ফয়সালাবাদে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

কুমিল্লায় দুই মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ

১০

বিদ্যুৎ সংকটের অবসান, পুরোদমে চলছে ডিইপিজেডে উৎপাদন

১১

মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ

১২

বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা 

১৩

২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না : প্রধান উপদেষ্টা 

১৪

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন 

১৫

হলুদ ছেড়ে লাল জার্সির খবরে প্রশ্নের মুখে ব্রাজিল!

১৬

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

১৭

যে কারণে আলিয়ার সঙ্গে অভিনয়ে আগ্রহী ইমরান হাশমি

১৮

আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৬ সদস্য আটক

১৯

ঢাবির বাসে হামলা, ৫ জন গ্রেপ্তার 

২০
X