কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০২:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মিয়ানমারে প্রত্যাহার হচ্ছে জরুরি অবস্থা, ডিসেম্বরে নির্বাচন

মিয়ানমারের সামরিক প্রধান
মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা তুলে নিচ্ছে দেশটির জান্তা সরকার। একই সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করেনি জান্তা সরকার।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি জানিয়েছে, মিন অং হ্লাইং অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তিনিই নির্বাচন তত্ত্বাবধান করবেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং জানান, আগামী ডিসেম্বর মাসে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর প্রথম জাতীয় নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মিন অং হ্লাইং সেনাবাহিনীর প্রধান (কমান্ডার ইন চিফ) পদেও বহাল থাকবেন।

এদিকে মিয়ানমারে সামরিক সরকারের প্রস্তাবিত নির্বাচন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সমালোচনা, প্রতিবাদ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। এই উদ্দেশে নতুন একটি আইন পাস করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার।

‘প্রোটেকশন অব মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেটিক ইলেকশন ফ্রম অবস্ট্রাকশন, ডিসরাপশন অ্যান্ড ডেস্ট্রাকশন’ শীর্ষক আইনটি গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট-এ প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর হয়েছে।

এই আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য, সমালোচনা, প্রতিবাদ, লিফলেট বিতরণ বা বিক্ষোভ আয়োজন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে শাস্তি হবে সর্বনিম্ন ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচন চলাকালীন ব্যালট পেপার নষ্ট করা, ভোটার, প্রার্থী কিংবা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো বা ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। নির্বাচনী সহিংসতায় কেউ নিহত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। তারা দাবি করে, ২০২০ সালের নির্বাচন ছিল জালিয়াতিপূর্ণ। অভ্যুত্থানের পর সু চি ও এনএলডির হাজারো নেতাকর্মীকে আটক করা হয়, যাদের অনেকেই এখনো কারাগারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০২৬ সালে স্বর্ণের দাম কত বাড়তে পারে, জানাল মর্গান স্ট্যানলি

নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে : হাসনাত আবদুল্লাহ

বিদেশিদের হাতে বন্দর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান

এশিয়া কাপ ট্রফি ফেরত দিতে ভারতের দুই দিনের আল্টিমেটাম

কুনমিং শিক্ষা সহযোগিতা সম্মেলনে আইইউবিএটি’র প্রতিনিধি দল

শান্তই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক

সিলেটে আ.লীগ নেতা খুন, ছেলে আটক

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে কৃষকদের বিদায় সংবর্ধনা

রাজধানীতে বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৩

কোন বয়সের পর কমতে শুরু করে শুক্রাণু, যা বলছে গবেষণা

১০

বাসদের ২২ নেতাকর্মী আটক

১১

দেশে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা

১২

বিরোধীদের বিক্ষোভে নিহত ৭০০ / তানজানিয়ায় ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট সামিয়া

১৩

হাউস অব লর্ডসে ঐতিহাসিক চুক্তি / উচ্চশিক্ষাকে বিশ্বমানে উন্নীত করবে অ্যাডভান্স হায়ার এডুকেশন

১৪

কৃষি ব্যাংকে বড় নিয়োগ, নেবে ১২৮৯ জন

১৫

রাত ১টার মধ্যে দশ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস

১৬

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুরস্কের গুরুতর অভিযোগ

১৭

অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার ৮

১৮

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের নিজ কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান আমীর খসরুর

১৯

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের লুকানো এই সেটিং মুহূর্তেই ফাঁকা করবে ফোনের স্টোরেজ!

২০
X