কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলে শ্রমিক পাঠাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যে দেশ

আল-আকসা মসজিদ এলাকায় ইসরায়েলি পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
আল-আকসা মসজিদ এলাকায় ইসরায়েলি পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধ আর সংঘাতের মধ্যেই টিকে থাকতে হয় ইসরায়েলকে। যেখানে প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রই দখলদারদের বন্ধু নয়। এমন বৈরি পরিবেশেই শ্রমবাজার ঠিক রাখতে হয় ইসরাইলকে। কিন্তু গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের হামলার পর, পাল্টে যায় সব হিসাব-নিকাশ। ওই সময় বেশকিছু বিদেশি শ্রমিকও নিহত হন। এরপর ইসরায়েলে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দেয় এশিয়ার একটি দেশ।

১৯৯৩ সালের শুরুর দিক থেকে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের জায়গায় বিপুল পরিমাণে বিদেশি শ্রমিক আনা শুরু করে ইসরায়েল। এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড ছাড়াও চীন, ভারত, নেপাল, ফিলিপাইন, রোমানিয়া ও তুরস্ক থেকে ইসরায়েল শ্রমিক নিয়ে আসে।

২০০৩ সাল নাগাদ ইসরায়েলের শ্রমবাজারের ১০ ভাগই ছিল বিদেশি শ্রমিক। অন্য দেশ থেকে আনা এসব শ্রমিক মূলত ইসরায়েলের কৃষি ও নির্মাণ খাতে কাজ করে। এক হিসাবে দেখা গেছে, দেশটিতে আসা বিদেশি শ্রমিকদের ২৪ শতাংশ কৃষি খাত এবং ৬০ শতাংশ নির্মাণ খাতে কাজ করে।

গাজায় আট মাস আগে শুরু হওয়া ইসরায়েলের অভিযানের কারণে বিদেশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে। এরপর বিভিন্ন দেশ, ইসরায়েলে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দেয়। সেই তালিকায় রয়েছে থাইল্যান্ডের নামও। সম্প্রতি গেল সোমবার থাইল্যান্ডের শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আবারও ইসরায়েলে শ্রমিক পাঠাবে। থাই সরকার বলছে, তারা বছরের শেষ নাগাদ ইসরায়েলে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক পাঠানোর টার্গেট নিয়েছে।

গেল বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার আগে ইসরায়েলের কৃষি খাতে প্রায় ৩০ হাজার থাই শ্রমিক কাজ করতেন। ইসরায়েলে বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে অন্যতম বড় গ্রুপ ছিল এটি। কিন্তু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৩৯ জন থাই নিহত হয়।

থাইল্যান্ড সরকারের হিসাব মতে, এ সময় ৩২ জন থাই নাগরিককে জিম্মি করা হয়। তাদের মধ্যে এখনও ৬ জন ফিলিস্তিনের যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি আছে বলে মনে করা হয়।

থাইল্যান্ডের শ্রম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, থাই শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভালে ইসরায়েলি সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে সরকার। মঙ্গলবারই ব্যাংকককে থেকে প্রায় ১০০ শ্রমিকের একটি দল ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আরেকটি দল যাবে জুলাইয়ের শুরুতে। বহু থাই নাগরিক, বিশেষ করে দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম্য এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ ইসরায়েল পাড়ি জমায়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হলেও বেশি পারিশ্রমিক আর দেনা শোধের তাড়না থেকেই এমন বিপজ্জনক শ্রমবাজারে প্রবেশ করে থাই নাগরিকরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবি শিক্ষার্থীদের বাস সেবা দিতে চায় শিবির, অনুমতি দেয়নি কমিশন

ইউক্রেন শান্তি চুক্তি আলোচনায় বড় অগ্রগতি

এসএসসি পাসে মীনা বাজারে চাকরির সুযোগ

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা

পুরুষদের প্রস্টেট চেক করানো কেন জরুরি

১০৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫২ জনের গণশুনানি

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, দ্বিতীয় ঢাকা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া ছাড়া উপায় নেই : ইরান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধে বৃদ্ধ নিহত

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১০

হুমকির মুখে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জাতীয় গ্রিড লাইন

১১

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদত্যাগ

১২

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকতে পারে

১৩

আড়ং ডেইরিতে নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৪

২৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৫

নাশতায় যেসব খাবার নীরবে বাড়াচ্ছে আপনার রক্তচাপ

১৬

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৭

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৮

বিয়ের সাজ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা, সিনেমা স্টাইলে হাসপাতালেই বিয়ে

১৯

নতুন যুদ্ধ কৌশল ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’, এটা আসলে কী

২০
X