রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের মাধ্যমে বেলারুশের সেনাবাহিনীতে একটি চুক্তিবদ্ধ সেনা ইউনিট গঠনের কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘এটা আমার উদ্যোগ। আমি চাই এরা আমাদের দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে থাকুক। তাদের ওপর নির্ভর করে একটি চুক্তিবদ্ধ সেনা ইউনিট প্রতিষ্ঠার জন্য আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বেলারুশের বার্তা সংস্থা বেল্টার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস।
এ সময় বেলারুশ কোনো যুদ্ধে জড়াবে না বলেও জোর দেন লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমি মনে করি, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। যদি কোনো শত্রু দেশ দেখে যে, আমরা প্রতিশোধ নিতে সক্ষম এবং (আমরা পাল্টা আক্রমণ করলে) তারা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তাহলে তারা কখনোই আমাদের ওপর আক্রমণ করবে না।’
আরও পড়ুন : বিশাল সেনাবহর নিয়ে বেলারুশে ওয়াগনার, এবার কী হবে
এর আগে বেলারুশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিক্টর ক্রেনিন জানিয়েছিলেন, তাদের সেনাবাহিনীতে ৬০ শতাংশ চুক্তিবদ্ধ সেনা সদস্য থাকবে। সেনাবাহিনীতে চাকরি করেনি কিংবা বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরি করেছে, এমন ব্যক্তিরা দুই বছরের চুক্তি করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করতে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ঘোষণার পরপর দেশটির রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রাও করে ওয়াগনার বাহিনী। তবে ওইদিন রাতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
সমঝোতা অনুযায়ী, ওয়াগনার যোদ্ধাদের রাশিয়ার নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করে কাজ করতে হবে। আর তা না হলে তাদের বেলারুশে চলে যেতে হবে। প্রিগোজিনকেও বেলারুশ চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এসবের বিনিময়ে বিদ্রোহ সম্পর্কিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া।
এরপর ওয়াগনার যোদ্ধারা বিশাল বহর নিয়ে রাশিয়া থেকে বেলারুশে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের বর্ডার গার্ড। এমনকি বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বেলারুশের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে ওয়াগনার বাহিনী।
মন্তব্য করুন