কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এরদোয়ানের শত্রু কে ছিলেন এই ফেতুল্লা গুলেন

তুরস্কের অন্যতম নেতা ফেতুল্লা গুলেন ও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের অন্যতম নেতা ফেতুল্লা গুলেন ও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শত্রু দেশটির অন্যতম নেতা ফেতুল্লা গুলেন মারা গেছেন।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জাননো হয়েছে।

গুলেনের বিরুদ্ধে এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে দেশটিতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর জানানো হারকুল ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সোমবার জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

গুলেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে ভয়াবহ আক্রমণের পেছনে তিনি ছিলেন। এ আক্রমণে দেশটিতে ২৫২ জন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত ২৭০০ জন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাকে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করে থাকেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন গুলেন।

গুলেন তুরস্ক এবং তুরস্কের বাইরে হিজমেত নামের একটি শক্তিশালী ইসলামী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এক সময় তিনি এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। তবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের দিকে সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দেখা দেয়।

তুরস্কের এ নেতা ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বঘোষিত নির্বাসনে ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এরজুরামের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন ইমাম ছিলেন। তিনি খুব অল্প বয়স থেকেই কুরআন পড়া আয়ত্ত করেছিলেন।

১৯৫৯ সালে গুলেন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এডিরনে একটি মসজিদে ধর্মীয় প্রবক্তা নিযুক্ত হন এবং ১৯৬০-এর দশকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইজমিরে একজন ধর্মীয় পণ্ডিত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এ সময় তিনি সেখানে ডরমিটরি স্থাপন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মীয় প্রচারণা চালাতেন, যা পরবর্তীতে তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে মধ্য এশিয়া, বলকান, আফ্রিকা এবং পশ্চিমের তুর্কি প্রজাতন্ত্রে ছড়িয়ে পড়েছিল।

প্রসিকিউটর এবং পুলিশের তদন্তে গুলেনের হিজমেতকে আন্দোলনের পেছনে সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়েছিল। এজন্য ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এছাড়া অভ্যুত্থানের দুই বছর পর তার আন্দোলনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এমনকি তাকেও অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়। এরপর গুলেনের আন্দোলন তুরস্কে পদ্ধতিগতভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রভাব হ্রাস পায়।

এরদোগান গুলেনের নেটওয়ার্ককে বিশ্বাসঘাতক এবং ‘ক্যান্সারের মতো’ ক্ষতিকর হিসেবে উল্লেখ করে তাদের মূলোৎপাটন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত শত শত স্কুল, কোম্পানি, মিডিয়া আউটলেট এবং অ্যাসোসিয়েশন বন্ধ ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কর্মী নিয়োগে সৌদির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

এক মাস না যেতেই ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ত্বকে যেসব পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হওয়া জরুরি, হতে পারে হার্টের সমস্যা!

রোহিঙ্গা যুবকের যাবজ্জীবন

নিজ বাড়িতে বৃদ্ধার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

৪ হাজার এএসআই নিয়োগে স্বরাষ্ট্রকে চিঠি, আছে অনেক শর্ত

‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে বিসিবির পরিচালক পাইলট

কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রথমবারের মতো চুক্তি স্বাক্ষর

সরকারি অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষের লোগো সংবলিত লিফলেট বিতরণ

ইসলামী ব্যাংকে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের দাবি

১০

ফুটবলের সঙ্গে আবেগ-ভালোবাসা মিশে আছে : বাসস চেয়ারম্যান

১১

আন্দোলনের মুখে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে নতুন প্রস্তাব

১২

পবিত্র কোরআন অবমাননার বিচারের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৩

ব্লাড সুগার বাড়ানো থেকে রক্ষা পেতে বাদ দিন সকালের ৪ খাবার

১৪

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৫

শেখ হাসিনার বিষয়ে দুই দেশকে কী করতে হবে, জানালেন বিক্রম মিশ্রি

১৬

দাফনের ১৯ দিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন

১৭

ভালোবাসার শিখরে থেকেই বিদায় নিতে চান তাহসান

১৮

ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্যবিরোধীর পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী

১৯

বিচ্ছেদের পথে থাকে যেসব ছোট ছোট কারণ

২০
X