প্রায় ৫০ বছর পর আবারও চন্দ্রাভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। ১৯৭৬ সালের পর আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) প্রথমবারের মতো লুনা-২৫ চন্দ্রযান চাঁদে পাঠিয়েছে রাশিয়া। খবর আলজাজিরা।
রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্ররাব রাত ২টা ১০ মিনিটে ভোস্টোচনি কসমোড্রোম থেকে লুনা-২৫ চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। চার পা বিশিষ্ট মহাকাশযানের ল্যান্ডারের ওজন প্রায় ৮০০ কেজি। এটি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাতে পারে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের আগে এটি কক্ষপথে তিন থেকে সাত দিন অবস্থান করবে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২৪টি চন্দ্রযান পাঠালেও আধুনিক রাশিয়া এই প্রথম কোনো মহাকাশযান পাঠাল। এই মহাকাশযানটি শতভাগ রুশ প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি।
রসকসমসের সিনিয়র কর্মকর্তা আলেকজান্ডার ব্লোখিন বলেন, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোনো চন্দ্রযান অবতরণ করবে। এখন পর্যন্ত সবাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে চন্দ্রযান পাঠিয়েছে।’
আরও পড়ুন : চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছল ভারতের চন্দ্রযান-৩
রুশ মহাকাশ সংস্থা বলছে, তাদের চন্দ্রযানটি দক্ষিণ মেরুতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ করবে। এতে এমন সব যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে যেগুলো চাঁদের মাটি, প্লাজমা ও ধুলা থেকে বিভিন্ন বিরল খনিজ ও পানির উৎস সন্ধানে কাজ করবে। এটি অন্তত এক বছরের মতো চাঁদে অবস্থান করবে।
আগামী ২৩ আগস্ট রাশিয়ার লুনা-২৫ চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখতে পারে। ঠিক একই সময়ে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এরও চাঁদে পা রাখার কথা।
গত ১৪ জুলাই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। আগামী ২৩ বা ২৪ আগস্ট এটি চাঁদে দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি রোবটযান নামাতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
যদি ভারতের এ অভিযান সফল হয়, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণা কাজ শুরু করতে পারবে দেশটি। যদিও ভারতের এ প্রতিযোগিতায় নিজেদের নাম লেখাল রাশিয়া। চাঁদের ওই অংশ সম্পর্কে এখনো খুব কমই জানে মানুষ।
রসকসমসের দাবি, দুদেশর মহাকাশযান চাঁদের একই এলাকায় অবস্থান করলেও তারা একে-অন্যের কাজে বাধা দেবে না। কারণ হিসেবে তারা বলছে, দুটি মহাকাশযানকে পৃথকভাবে কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন