ঘুষ গ্রহণ ও মানবপাচারের অভিযোগে একসঙ্গে সেনাবাহিনীর সব আঞ্চলিকপ্রধানকে বরখাস্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চলমান রাখতে সামরিক শক্তি জোরদার প্রচেষ্টার মধ্যেই সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিলেন তিনি। খবর বিবিসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জেলেনস্কি বলেন, আমরা সেনাবাহিনীর সব আঞ্চলিকপ্রধানদের বরখাস্ত করছি। তাদের স্থলে এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে যাদের যুদ্ধজ্ঞান রয়েছে। যুদ্ধের সময় ঘুষ নেওয়া বড় ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
তিনি বলেন, সেনা নিয়োগে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঘুষ হিসেবে নগদ টাকা ও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে যুদ্ধে যোগদান করতে পারবে এমন মানুষের ইউক্রেন ছাড়তে সহায়তা করছেন। নিয়োগের সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে না। তারা যোদ্ধাদের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করছে, তারা দায়িত্ব যেভাবে পালন করছে তা অনৈতিক।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এসব অভিযোগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন করছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কত সেনা মারা গেছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া বা ইউক্রেন, কেউ জানায়নি। তবে লড়াই চালিয়ে যেতে দুই দেশই সেনা নিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
সরকারি খাতে দুর্নীতি ইউক্রেনের দীর্ঘদিনের সমস্যা। গত জানুয়ারি মাসে দুর্নীতির অভিযোগে ১১ কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করা হয়। এরপর মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধানকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আটক করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো পশ্চিমা জোটে যোগদানের ক্ষেত্রে দেশটির অন্যতম বাধা এই দুর্নীতি।
মন্তব্য করুন