আগামী বছর শেষ হচ্ছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকারের মেয়াদ। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিচ্ছে পশ্চিমারা। তবে জেলেনস্কি বলছেন, পশ্চিমাদের অর্থ সহায়তা পেলেই তিনি নির্বাচনের আয়োজন করবেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী আগামী বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি কিয়েভ সফর করে নির্বাচনের আহ্বানও জানিয়েছেন মার্কিন এক আইনপ্রণেতা।
মার্কিন আইনপ্রণেতার আহ্বানের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম আমাকে নির্বাচনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছেন। আমি তাকে বলেছি, আমাদের আইনপ্রণেতারা চাইলে সম্ভব। কারণ যুদ্ধকালীন নির্বাচনের জন্য আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। আমি তাকে বললাম আমাকে ৫০০ কোটি রিভনিয়া (ইউক্রেনীয় মুদ্রা) দিন। আমি এই পরিস্থিতিতে বাজেট থেকে এত অর্থ নিতে পারব না।
নির্বাচন পরিচালনায় পশ্চিমাদের কাছে জেলেনস্কির প্রত্যাশিত পরিমাণ অর্থ মার্কিন ডলারে সাড়ে ১৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ। তিনি জানান, শান্তিকালীন নির্বাচন পরিচালনায় উল্লিখিত পরিমাণ অর্থই প্রয়োজন হয়। এদিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে সামরিক আইনে পরিচালিত হচ্ছে কিয়েভের প্রশাসন। ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি বর্তমানে নেই।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জানান, সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র কেনার অর্থ তিনি নির্বাচনে ব্যয় করতে পারবেন না। আইনে এর কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া ইউরোপে বসবাসরত শরণার্থী ইউক্রেনীয়রাও যাতে ভোট দিতে পারে সে সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বানও জানান জেলেনস্কি। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ভোটাধিকার যাতে নিশ্চিত হয় সেই বিষয়েও জোর দেন এই নেতা।
মন্তব্য করুন