ইউক্রেনে হামলার সময় রাশিয়ার একটি ড্রোন রোমানিয়ার আকাশে অনুপ্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে সেটি ভূপাতিত করতে যুদ্ধবিমান পাঠায় রোমানিয়া। বিমানটি ড্রোনের খুব কাছে চলে গেলেও হামলার ঠিক আগ মুহূর্তে ড্রোনটি রোমানিয়া ত্যাগ করে। খবর আল জাজিরার।
রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউনুত মোসতেয়ানু বলেন, শনিবার রুশ ড্রোন প্রবেশের ঘটনা ঘটে। ড্রোনটি খুব নিচে দিয়ে উড়ছিল। আমাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পাইলটরা ড্রোনটি ধ্বংস করার জন্য খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন। কিন্তু এর আগেই সেটি ইউক্রেনের দিকে চলে যায়।
রোমানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রুশ ড্রোন ধ্বংসে রোমানিয়া দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং পরে দুটি ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। যুদ্ধবিমানগুলো রোমানিয়ার আকাশসীমায় ড্রোনটি শনাক্ত করে এটির পিছু নেয়। একপর্যায়ে এটি চিলিয়া ভেচে গ্রামের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গিয়ে রাডার থেকে হারিয়ে যায়। এ সময় দানিয়ুব ও ইউক্রেন সীমান্তসংলগ্ন তুলসিয়া কাউন্টির নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেয়।
এদিকে প্রায় একই সময় পোল্যান্ডও ড্রোন হুমকির কারণে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। তবে কোনো অ্যাকশনের ঘটনা ঘটেনি। গত সপ্তাহে এক ডজনেরও বেশি ড্রোন পোলিশ আকাশসীমায় প্রবেশ করলে যুদ্ধবিমানগুলোকে তৎপর করা হয়। তখন প্রথমবারের মতো পোলিশ এবং ন্যাটো বাহিনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল। তখন পোলিশ সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ান ফেডারেশনের আক্রমণের সময় আমাদের আকাশসীমা বারবার ড্রোন দ্বারা লঙ্ঘিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ডারের অনুরোধে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং ধ্বংস হওয়া লক্ষ্যবস্তুগুলো শনাক্ত করার জন্য সেগুলো সংগ্রহ করা হয়।
ইউক্রেনের সঙ্গে রোমানিয়ার ৬৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় দেশটিতে রুশ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়তে দেখা গেছে। তবে দীর্ঘ সময় রোমানিয়া ছিল প্রতিক্রিয়াহীন। কিন্তু এবার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান পাঠানো যুদ্ধক্ষেত্রে মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
মন্তব্য করুন