

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসন পতনের এক বছর পর বেলজিয়াম বর্তমানে কমপক্ষে ১৯টি ফৌজদারি তদন্ত চালাচ্ছে। দেশটিতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন সিরিয়ান যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এ তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলগা নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য জানিয়েছে বেলজিয়ামের ফেডারেল প্রসিকিউটরস অফিস।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) টিআরটি ওয়াল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডামাস্কাস ডসিয়ার নামে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এটি পরিচালনা করছে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যম ডে টিড, লে সোয়র এবং ন্যাক এই যৌথ তদন্তে অংশ নিয়েছে।
টিআরটি ওয়াল্ড জানিয়েছে, এই প্রকল্পে সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার এক লাখ ৩৪ হাজারের বেশি ফাঁস হওয়া নথি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব নথিতে আসাদ শাসনামলে ব্যাপক ও পদ্ধতিগত নির্যাতনের প্রমাণ উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি এবং সিরিয়ান প্রবাসীদের সাক্ষাৎকার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, আসাদ সরকারের সমর্থক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি বর্তমানে বেলজিয়ামে বসবাস করতে পারেন।
ফেডারেল প্রসিকিউটরস অফিস জানিয়েছে, সিরিয়ার সংঘাতকালীন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২৭টি মামলা খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, বাকিগুলো চলমান।
ফেডারেল প্রসিকিউটরস অফিসের মুখপাত্র ইয়াসমিনা ভানোভারশেলদে জানান, এখনো ১৯টি তদন্ত চলছে। এর কিছু তদন্ত দায়েশ (আইএস) সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এ ছাড়া চারটি মামলা বর্তমানে তদন্তকারী বিচারকের আওতায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বাশার আল আসাদ ডিসেম্বর ২০২৪-এ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের বাথ পার্টির শাসনের অবসান ঘটে। এরপর আহমেদ আল-শারা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন