রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়ার একাধিক গণমাধ্যম ফৌজদারি মামলার খবর জানানোর পর থেকে হদিস মিলছে না পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা এই ব্যক্তির।
মস্কোর সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা গণমাধ্যমকে জানান, প্রিগোজিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাটি ক্রমেই আরও রহস্যময়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাশিয়ার পত্রিকা কমার্স্যান্ট জানায়, রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে হওয়া ফৌজদারি মামলার তদন্ত করছে। এ ছাড়াও তাস, আইআরআইসহ রাশিয়ার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রিগোজিনের ১০ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এর আগে শনিবার রোস্তভ শহর থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে ওয়াগনারকে আর দেখা যায়নি। বিবিসির এক সাংবাদিকের মতে, এর আগে পুতিনের সাথে সমঝোতা যে প্রিগোজিনের পক্ষে গেছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ক্রেমলিনের কথা সত্য হলে এর অর্থ–বেলারুশে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে প্রিগোজিনকে।
বর্তমানে রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। ওই এলাকাটিকে নো-ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে রুশ সরকার। রোস্তভ শহরের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা বিমানবন্দর ভলগোগ্রাদ এবং সচি। কিন্তু এই দুই বিমানবন্দরের অবস্থান প্রায় ২৫০ মাইল দূরে।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, প্রিগোজিন যদি গাড়িতে বা ট্রেনে করে বেলারুশ যান, তাহলে সেই পথ অনেক দীর্ঘ হবে। এ পথ অনুসরণ করলে তাকে যেতে হবে ইউক্রেনের বাইরে দিয়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে ওয়াগনার যোদ্ধারা। বিদ্রোহের শুরুতে তারা শহরটির সামরিক ঘাঁটিগুলো দখল করে নিয়েছিল। পরে রোস্তভ ও মস্কোর মধ্যবর্তী একটি শহর ভরোনেঝও দখল করে তারা।
ওয়াগনার যোদ্ধারা ফিরে যাওয়ার পর এখন তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না। তারা কী ইউক্রেনে ফিরে যাচ্ছে, নাকি অন্য কোথাও যাচ্ছে—তাও পরিষ্কার নয়।
মন্তব্য করুন