কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা নিয়ে বিরল গণভোট

গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টা। ছবি : সংগৃহীত
গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টা। ছবি : সংগৃহীত

গরু নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে নানা আচার ও সংস্কৃতি। কোথাও গরুকে দেখা হয় দেবতা হিসেবে আবার কোথাও ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে। এবার সেই গরু নিয়েই আয়োজন করা হচ্ছে বিরল এক গণভোটের। বিষয়- গরুর গলায় ঘণ্টা থাকবে কি, থাকবে না। এ গণভোটের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে কয়েক শতকের এ এতিহ্য থাকবে নাকি বিলুপ্ত হবে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কথা শুনলেও অনেকেই হয়তো গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত নয়। এবার তবে গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার গল্প শোনার পালা। আর এ নিয়ে কোনো আলোচনা নয় বরং সরাসরি আয়োজন করা হয়েছে বিশাল এক গণভোটের। সেখানেই নির্ধারিত হবে গরুর গলায় ঘণ্টা থাকবে নাকি থাকবে না।

অদ্ভূত এ গণভোট আয়োজিত হচ্ছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডে। বিস্তীর্ণ সমভূমি ও আল্পস পর্বতমালা দ্বারা ঘেরা দেশটির অন্যতম ঐতিহ্য হলো গরুর গলায় ঘণ্টা ঝোলানো। চারণভূমিতে ঘাস খাওয়ার সময় এসব গরুর গলায় ঝোলানো ঘণ্টা সারাক্ষণই টুংটাং করে বাজছে। তবে সবারই যে ঐতিহ্যবাহী এ প্রথা ভালো লাগে, বিষয়টি এমন নয়।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মধ্য সুইজারল্যান্ডের আরওয়ানগেন গ্রামে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। বলা হয়, একটি আবাসিক এলাকার পাশে থাকা মাঠে ১৫টি গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টার জন্য রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে বাসিন্দাদের জন্য। এ সমস্যা সমাধানে দুই দম্পতি রাতের বেলা গরুর গলায় ঘণ্টা সরানোর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে তারা ভোটের দাবি তোলেন।

এ সমস্যাটি সুইজারল্যান্ডের প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে উত্থাপন করতে অভিযোগের পক্ষে গ্রামের মোট বাসিন্দাদের ১০ শতাংশের সমর্থন দরকার ছিল। এদিকে এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা ১ হাজার ৯৯টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় এ উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভা পরিষদে তুলে ধরা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকা ১৬৬ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জন গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার বিরোধিতা করেছিলেন। এ নিয়ে আগামী বছরের জুনে ভোটাভুটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আল্পইন পবর্তমালার চারণভূমিতে চরে বেড়ানো গৃহপালিত পশুদের অবস্থান জানার জন্য একসময় এই ঘণ্টা অপরিহার্য ছিল। গ্রীষ্মকালে আল্পাইনে জমিতে কৃষিকাজের প্রচলিত রীতির অংশ হিসেবে গবাদিপশুর পালকে উঁচু পাহাড়ের চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়া হতো। এদের গলায় বাঁধা হয় আলংকারিক ঘণ্টা। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় স্থান করে নেয় এটি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কৃষক দল সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সতর্কবার্তা / ‘সাংবাদিকরা চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকারে ডুবে যাবে’

অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ : পুলিশ সুপার

বগুড়ায় সাহিত্য উৎসব শুক্রবার, অংশ নিবে দুই শতাধিক কবি

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধে নতুন নির্দেশনা

জুলাই শহীদদের স্মরণে জবিতে গ্রিন ভয়েসের বৃক্ষরোপণ ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানে রুশ হামলা

মালয়েশিয়ার পর চীন সফরে যাবেন নাহিদ

৩১ দফাই হচ্ছে আমাদের জাতীয় সনদ : সুব্রত চৌধুরী

টিসিবির নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকচাপায় বৃদ্ধ নিহত

১০

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর বাতিল

১১

জেলেনস্কির টার্গেট তুরস্ক, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড

১২

শিক্ষকের ওপর হামলা, ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ

১৩

‘আপনাকে গভীরভাবে অনুভব করি প্রতি পদে পদে’

১৪

এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে প্রচার, শিক্ষা বোর্ডের বক্তব্য

১৫

হাসারাঙ্গাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কা দল ঘোষণা

১৬

ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের টাকা নিয়ে উধাও সমাজসেবা কর্মকর্তা

১৭

সিলেটে সাদাপাথর লুট / গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বিমত

১৮

আমাদের আদর্শগত শত্রু বিজেপি, বললেন থালাপতি বিজয়

১৯

৩৮ বছরের শিক্ষকতা শেষে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় প্রধান শিক্ষককে বিদায়

২০
X