ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। দেশটি ইউক্রেনে বৃষ্টির মতো ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। রাশিয়ার এমন হামলার মধ্যে গুরুতর অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের অন্যতম মিত্র দেশ পোল্যান্ড। দেশটি নিজেদের আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোল্যান্ডের জেনারেল অভিযোগ করেন, শুক্রবার তাদের আকাশসীমায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ঢুকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনে রাশিয়ার বৃষ্টির মতো ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় তারা একটি বেনামী বায়বীয় যান ঢুকে পড়ার বিষয়টি নজরে আনেন।
পোল্যান্ড আর্মড ফোর্সের জেনারেল মাকিজ ক্লিজ বলেন, বায়বীয় যানটি তাদের আকাশসীমার তিন মিনিটের কম সময় অবস্থান করেছিল। এরপর এটি আবার ইউক্রেনের দিকে ফিরে যায়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পোল্যান্ডের ওপর দিয়ে চলা যানটির পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি যেটি জানাচ্ছি সেটি হলো ক্ষেপণাস্ত্রটি পোল্যান্ডের আকাশসীমা ছেড়ে গেছে।
এর আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যমতে, রাশিয়া ইউক্রেনে ১৫৮টি বিমান হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধের পর দেশটিতে এটিই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা।
ইউক্রেনের আর্মড ফোর্সের কমান্ডার ইন চিফ ভালেরি জালুঝিনি বলেন, রাশিয়া প্রথাগতভাবে হামলার একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। তবে এ হামলায় প্রথমবারের মতো ইরানের শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ড্রোনের মাধ্যমেই তারা ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ার এ হামলায় ৫৫টি ক্রুজ মিসাইল, ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, পাঁচটি অ্যারোব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করেছে। এছাড়া হামলায় তারা ব্যাপকসংখ্যক এন্টি রাডার মিসাইলও নিক্ষেপ করেছে।
কামান্ডার ইন চিফ ভালেরি জালুঝিনি জানান, রাশিয়ার ছোড়া হামলার মধ্যে ৩৬টি ড্রোন রয়েছে। যার মধ্যে ২৭টি তারা ভূপাতিত করেছে। এছাড়া ৮৭টি ক্ষেপণাস্ত্রও ভূপাতিত করার দাবি করেছে দেশটি।
এর আগে গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের মেরিঙ্কা শহর রুশ সেনাবাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর এমন দাবি তাৎক্ষণিকভাবে অস্বীকার করেছে কিয়েভ।
এর আগে, ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র পথ ভ্রষ্ট হয়ে পোল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামে আছড়ে পড়ে। ওই ঘটনায় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পোলান্ডে ছড়িয়ে পড়ার গুঞ্জন ওঠে।
মন্তব্য করুন