তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ শুক্রবার ইস্তাম্বুলে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
আগামী সপ্তাহে সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে ইউক্রেন যেন জোটটির সদস্যপদ লাভ করে, সে বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণে অন্য দেশগুলোকে উৎসাহিত করতে এ সফর করছেন জেলেনস্কি। এরই অংশ হিসেবে তুরস্ক সফর করছেন তিনি।
গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের উৎপাদিত শস্য রপ্তানিতে আঙ্কারার মধ্যস্থতায় মস্কোর সঙ্গে চুক্তি করে কিয়েভ। চুক্তির আওতায় কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে শস্য রপ্তানি করছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়ার অভিযোগ চুক্তির একক সুবিধা ভোগ করছে ইউক্রেন। চুক্তি অনুযায়ী রুশ সার ও শস্য রপ্তানির কথা থাকলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে লেনদেন নিয়ে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে রুশ প্রতিষ্ঠানগুলো।
এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ইচ্ছা নেই রুশ পক্ষের। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেন চাইছে যে কোনো মূল্যে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো। চলতি মাসের ১৭ তারিখ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যাবে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি। এই চুক্তি চালু রাখা নিয়ে আবারও এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করছেন জেলেনস্কি।
অন্যদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মিত্র রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দপ্তর ক্রেমলিন বলছে, এই বৈঠকের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। মূলত কৃষ্ণসাগরীয় শস্য চুক্তি নিয়ে জেলেনস্কি এরদোয়ানের আলোচনাই বেশি গুরুত্বসহকারে দেখছে মস্কো।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, যুদ্ধের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে শুরু থেকেই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন পুতিন। খুব সম্প্রতি দুই প্রেসিডেন্টর আলোচনা হতে পারে এমন সম্ভাবনারও ইঙ্গিত দেন পেসকভ।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমাদের আরোপ করা কোনো নিষেধাজ্ঞাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেননি এরদোয়ান। আবার ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন দিয়েছেন শক্তভাবেই। ফলে যুদ্ধরত দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক বেশ ভালো তুর্কি সুলতানের।
মন্তব্য করুন