বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গর্ভপাতকে নারীদের সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) দেশের সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ফরাসি নারীদের এই অধিকার দেওয়া হয়। খবর বিবিসির।
সোমবার ফ্রান্সের সংসদে এই বিষয়ের ওপর ভোটাভুটি হয়। এই সংশোধনীর পক্ষে ৭৮০ জন ফরাসি সংসদ সদস্য (এমপি) ভোট দেন। আর বিপক্ষে ভোট দেন ৭২ জন এমপি।
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির ভোটে সংশোধনী বিলটি পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো এই পদক্ষেপকে ফরাসিদের গর্ব হিসেবে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে এটি গর্ভপাত নিয়ে বিশ্বজুড়ে বার্তা পৌঁছে দেবে বলেও জানান তিনি।
ভোটের আগে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল সংসদে বলেছিলেন, নারীদের গর্ভপাতের অধিকার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের দয়ার ওপর টিকে রয়েছে। আমরা সব নারীর কাছে একটি বার্তা পাঠাচ্ছি : আপনার শরীর আপনারই। আপনার হয়ে এই বিষয়ে অন্য কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
অবশ্য ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে ১৯৭৫ সাল থেকেই গর্ভপাত বৈধ। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে আসে, ফ্রান্সের ৮৫ শতাংশ মানুষ গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সংবিধান সংশোধনকে সমর্থন করেন। এরপর ১৯৫৮ সালে প্রণীত ফ্রান্সের সংবিধান সংশোধন করা হলো। এ নিয়ে ২৫ বারের মতো দেশটির সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।
তবে গর্ভপাতবিরোধী সংগঠনগুলো সংবিধান সংশোধনীর কঠোর সমালোচনা করেছে। ভ্যাটিকান সিটিও বিষয়টির সমোলোচনা করেছে। দেশটি বলছে, মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। মানুষের জীবন সুরক্ষার বিষয়টি যেন পূর্ণ অগ্রাধিকারের বিষয় হিসেবে থাকে সে জন্য সব দেশের সরকার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
মন্তব্য করুন