ফ্রান্সের পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। একইসঙ্গে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থিদের কাছে ধরাশায়ী হয়েই এ ঘোষণা দেন তিনি।
মাখোঁর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জুলাই।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে রোববার ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়ামসহ ২১টি সদস্য দেশে ভোটাভুটি হয়। ফলাফল আসতে শুরু করলে দেখা যায়, নির্বাচনে ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশেই এগিয়ে রয়েছে ডানপন্থি দলগুলো।
যদিও মধ্যপন্থি, উদার ও গ্রিন পার্টিগুলো সবাই মিলে ৭২০ আসনের এই পার্লামেন্টে ভারসাম্যপূর্ণ ফলাফল পেতে যাচ্ছে। কিন্তু ফ্রান্সে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হলো মাখোঁর দল।
৮১ জন ফরাসি আইনপ্রণেতা ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নির্বাচিত হবেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নির্বাচনে ফ্রান্সের ডানপন্থি মেরিন লে পেন প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল র্যালি পেয়েছে ৩২ শতাংশ ভোট। বর্তমানে দলটির নেতৃত্বে আছেন ২৮ বছর বয়সী জর্দান বারদেলা। আর মাখোঁর রেনেসাঁ পার্টি পেয়েছে ১৪ শতাংশ ভোট।
এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ ফ্রান্সে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থিদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে তড়িঘড়ি করে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আগাম নির্বাচন উপলক্ষে দেয়া ভাষণে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে কাজ করতে দেশটিতে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। এদিকে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধীরা। ফ্রান্স ছাড়াও জার্মানিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে দেশটির রক্ষণশীল ও উগ্র-ডানপন্থিদের চেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসও।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই রক্ষণশীল কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থান নিরাপত্তা, জলবায়ু ও অভিবাসনের মতো নীতিগত বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
মন্তব্য করুন