পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে পৃথক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে এসব সন্ত্রাসী নিহত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি অভিযানে সন্ত্রাসীরা একটি চেকপোস্টে হামলা চালায়। এতে চার নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট রয়েছেন। এছাড়া জিওয়ানিতে পাকিস্তান-ইরান সীমান্তের কাছে একটি হামলায় দুজন কোস্টগার্ড সদস্য শহীদ হন।
আইএসপিআরের বিবৃতি অনুসারে, ২৮-২৯ মে রাতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শাওয়াল এলাকায় ভারতসমর্থিত সন্ত্রাসীরা একটি চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা করে। নিরাপত্তাবাহিনী কার্যকরভাবে এ হামলা প্রতিহত করে এবং তীব্র গোলাগুলিতে ছয় ভারতসমর্থিত খারিজি (নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান সদস্য) নিহত হয়। এ সংঘর্ষে লেফটেন্যান্ট দানিয়াল ইসমাইল, নায়েব সুবেদার কাশিফ রাজা, ল্যান্স নায়েক ফিয়াকাত আলী এবং সিপাহি মুহাম্মদ হামিদ নিহত হন।
সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় কারফিউ জারি করা হয় এবং হতাহতদের মিরামশাহ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গুরুতর আহতদের বান্নুর সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ কার্যকর ছিল। এ সময় কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে এবং অপ্রয়োজনীয় চলাচল এড়াতে নির্দেশ দেয়। শাওয়াল ও আশপাশের এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো হয়।
অন্যদিকে, চিত্রাল জেলায় পৃথক একটি ঘটনায় এক সন্ত্রাসী নিহত হয়। এছাড়া বান্নুর লান্ডিডাক এলাকায় সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালালে তীব্র সংঘর্ষ হয়। একজন পুলিশ সদস্য মুর্তজা নিহত হন এবং তার সহকর্মী মির জামান ও একজন স্কুলশিক্ষক নকীব আহমদ আহত হন। গ্রামবাসী ও পুলিশের কার্যকর প্রতিরোধের কারণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বেলুচিস্তানে দুটি অভিযানে পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং জিওয়ানিতে ইরান সীমান্তের কাছে একটি চেকপোস্টে হামলায় দুজন কোস্টগার্ড সদস্য নিহত হন। কর্মকর্তারা জানান, অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিরা সুন্দি উপকূলীয় এলাকায় চেকপোস্টে হামলা চালায়। সহকারী কমিশনার জাওয়াদ আহমেদ জেহরি নিশ্চিত করেন যে, সীমান্তের ওপার থেকে আসা সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে দুজনকে শহীদ করে। নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
আইএসপিআর জানায়, কেচ ও লোরালাই জেলায় পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয়। এছাড়া লোরালাইয়ে, তীব্র গোলাগুলির পর চারজন ভারতসমর্থিত সন্ত্রাসী নিহত হয়। এসব সন্ত্রাসী ২০২৪ সালের ২৬ আগস্ট ও ১৮ ফেব্রুয়ারি এন-৭০-এর কাছে রারাশামে হামলাসহ বিভিন্ন জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত ছিল। এ হামলায় ৩০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
মন্তব্য করুন