ময়ূরের সংখ্যা বেড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। তবে ময়ূরের সংখ্যা কত বেড়েছে সেটি বন অধিদপ্তরের কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। ময়ূর গণনার বিষয়ে তারা চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বন অধিদপ্তরের বর্ধমান ডিভিশনের এডিএফও সোমনাথ চৌধুরী বলেন, জঙ্গলে বন্যপ্রাণী, বিশেষত ময়ূরের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী তা দেখতেও পাচ্ছেন। আগামী দিনে ময়ূরের গণনা করা যায় কি না, তা দেখা হবে। দুটি রেঞ্জে এই মুহূর্তে আনুমানিক পাঁচ শতাধিক ময়ূর রয়েছে।
বন অধিদপ্তর জানিয়েছে, পানাগড় ও দুর্গাপুর রেঞ্জে বনাঞ্চলের পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় পাঁচ হাজার ও সাড়ে সাত হাজার হেক্টর। দুর্গাপুর রেঞ্জের দেউলে ময়ূর ও হরিণ সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। ২০০৭ সালে দেউলে ৩০টি ময়ূর ছাড়া হয়েছিল। ফলে এখানে আগেও ময়ূর দেখা যেত। তবে তা দেখা যেত জঙ্গল লাগোয়া গৌরাঙ্গপুর, খেরোবাড়ির মতো কয়েকটি গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা রামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, তিন-চার বছর আগেও সপ্তাহে হয়তো একটি করে ময়ূরের দেখা মিলত। এখন প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে। পানাগড় রেঞ্জে সেভাবে ময়ূরের দেখাই মিলত না। কিন্তু কয়েকবছর ধরে লবনধার, আদুরিয়া, অমরপুরে বিভিন্ন গ্রামের পুকুরে ময়ূর ঘুরতে দেখেছেন এলাকাবাসী।
এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এর কারণে সেখানে বিচরণভূমি বাড়ানো হচ্ছে। সবশেষ শুমারিতে উত্তরের এই জাতীয় উদ্যানে ২৯২টি গন্ডার পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১০১টি পুরুষ এবং ১৩৪টি স্ত্রী গন্ডার ছিল।
মন্তব্য করুন