মাদকদ্রব্যে আসক্ত ছিলেন সচিন। বাড়িতে স্বজনরা নানা চেষ্টা করেও তাকে ওই পথ থেকে ফেরাতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে আসক্তি মারাত্মক রূপ নিলে পরিবারের লোকজন তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন। সেখানে মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি কমলেও ভয়াবহ এক নতুন নেশায় বুদ হয়ে পড়েন সচিন।
চিকিৎসক, স্বজন ও নেশামুক্তি কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, স্টিলের চামচ, দাঁত ব্রাশ খাওয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন সচিন। কেন্দ্রের ক্যান্টিন ও অন্যান্য রোগীদের কাছ থেকে সেসব চুরি করে শৌচাগারে ঢুকতেন তিনি। সেখানে সেসব দুটুকরো করে গিলে ফেলতেন। প্রথম দিকে গিলতে কষ্ট হলেও পরে তা খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠতেন।
এভাবেই দিন যাচ্ছিল সচিনের। কিন্তু সম্প্রতি তার পেটে খুব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করে দেখেন পাকস্থলীতে জড়ো পদার্থ ভর্তি। পরে অস্ত্রোপচারে তার পেটের ভিতর থেকে ২৯টি স্টিলের চামচ, দাঁত মাজার ১৯টি ব্রাশ এবং কলম উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সচিনের বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে। তিনি হাপুরের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে আটক থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে খুবই সামান্য পরিমাণে খাবার দেওয়া হতো। এতে তার ক্ষিদে মিটত না। বাড়ি থেকে মাঝেমধ্যে যে খাবার আসত, তার বেশির ভাগই কর্মচারীরা রেখে দিতেন।
সচিনের বলেন, কখনও কখনও দিনে একটা বিস্কুট খেয়েও কাটাতে হতো। ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে সেসব খাওয়া শুরু করে। পরে সেসবের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি।
মন্তব্য করুন