কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারতের বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের নতুন ছবি-ভিডিও প্রকাশ, জানা গেল কারণ

বিধ্বস্ত হওয়া বিমান। ছবি : সংগৃহীত
বিধ্বস্ত হওয়া বিমান। ছবি : সংগৃহীত

দুবাই এয়ারশোর উড়োজাহাজ প্রদর্শনী চলাকালে ভারতের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় নতুন বেশকিছু তথ্য সামনে এসেছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রদর্শনী চলাকালে এলসিএ তেজস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় উপস্থিত দর্শনার্থীরা মুহূর্তটির ভিডিও ধারণ করেন। এতে আকাশে কসরত করার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানটিকে মাটিতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে যেতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আকাশে কালো ধোঁয়ার স্তম্ভ উঠতে দেখা যায়।

দুবাইয়ের আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় দর্শকরা তাদের আসন থেকে লাফিয়ে উঠে মোবাইলে দৃশ্যটি ধারণ করতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শী রিয়েল এস্টেট পরামর্শদাতা আবু বকর নিজের ধারণ করা ভিডিওতে দুর্ঘটনার কয়েক সেকেন্ড আগে তেজসের গতি ও অবস্থান পরিবর্তনের দৃশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জেটটি নিচে নেমে আসছিল। আমরা ভেবেছিলাম পাইলট আবার উপরে তোলবেন, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়।

যেভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক আসনের এলসিএ তেজস বিমানটি একটি নেগেটিভ জি ম্যানুভার সম্পন্ন করার পর রোল ম্যানওভারে প্রবেশ করছিল। তবে তখন বিমানটি অত্যন্ত নিচু উচ্চতায় ছিল। রোল সম্পন্ন করতে গিয়ে বিমানটির উচ্চতা আরও কমে যায় এবং অনুভূমিক অবস্থায় ফিরতে ফিরতে এর ভার্টিক্যাল ডেসেন্ট স্পিড অত্যধিক বেড়ে যায়। ফলে মাটিতে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে এবং বিমানটি বিধ্বস্ত যায়।

দুর্ঘটনার পরে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ—চারদিক ছড়িয়ে থাকা কালো, বিকৃত ধাতব অংশ।

নেগেটিভ জি কী?

নেগেটিভ জি হলো এমন এক ধরনের বল, যেখানে মাধ্যাকর্ষণের বিপরীত দিকে চাপ সৃষ্টি হয়। অ্যারোবেটিক ফ্লাইং, আকস্মিক ডাইভ বা প্রবল টারবুলেন্সে এই বল অনুভূত হয়। সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এটি পাইলটকে দিশেহারা বা অচেতন করে দিতে পারে। তাই পাইলটদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এয়ারশোর এই দুর্ঘটনায় ভারতের বিমান বাহিনীর পাইলট উইং কমান্ডার নমনশ স্যাল (৩৪) প্রাণ হারান। তিনি হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার পাতিয়ালকার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার স্ত্রীও ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা। দাম্পত্য জীবনে তাদের ছয় বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তার বাবা জগন্নাথ স্যাল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফায়ারফক্সে নতুন ফিচার, ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে এআই সহকারী

আশুলিয়ার ভূমিকম্প নরসিংদীর আফটারশক : ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র 

আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক

নিরাপদ অভিবাসন ও ন্যায্য নিয়োগের জন্য ‘ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ উদ্বোধন

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ 

ন্যায়ভিত্তিক ও নারীবান্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

বাংলায় জন্ম, তবু শুদ্ধ উচ্চারণে ব্যর্থ কেন

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

নির্বাচন বিলম্ব করতে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে : আমীর খসরু

১০

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারতের স্কোয়াড নিয়ে মিলল আভাস

১১

সময় না থাকলেও পুরুষদের জন্য কেন ব্যায়াম করা জরুরি

১২

ভারতের বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের নতুন ছবি-ভিডিও প্রকাশ, জানা গেল কারণ

১৩

যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে বিপুল জাটকা জব্দ

১৪

ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু, পুলিশের দাবি ‘শ্বাসকষ্ট’

১৫

পিরিয়ডে পেটব্যথা, কমবে ভেষজ চায়ে

১৬

জামায়াত ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত: ইসি সানাউল্লাহ

১৮

সাকিবকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন তাইজুল

১৯

কারিশমার সাবেক স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে নতুন বিতর্ক

২০
X