আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত দুই সপ্তাহে ভারতের পেঁয়াজের দাম ৬০ শতাংশ বেড়েছে। যা আগামী ডিসম্বরে নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের সরকারি তথ্যানুসারে গত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৭০ টাকায় পৌঁছেছে। ইকোনোমিকস টাইমসের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাসালগাঁও এপিএমসিতে দাম ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন (এনসিআর) জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ আগের চেয়ে এ দাম উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। নতুন খরিফ শস্য বাজারে না ওঠা পর্যন্ত দাম অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আহমেদনগর পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান নন্দকুমার শিরকে ইকোনোমিক টাইমসকে বলেন, বাজারে গত ১০ দিনে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম প্রায় ১০ রুপি বেড়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কেজিপ্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ রুপি। যা ১০ অক্টোবরে মহারাষ্ট্রর লাসালগাঁও বাজারে পাইকারিতে ছিল ২৪ রুপি। এটি গত মঙ্গলবারে বেড়ে ৩৮ রুপিতে ঠেকেছে।
গত আগস্ট মাসে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। এ সময় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ করারোপ করে। খরিফ শস্যের বীজ বপনে দেরি এবং চাষের জমি কমার কারণে এ দাম বাড়ে বলে জানান বাজার বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার।
শিরকে জানান, পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। গত ১৫ দিনে ভারতের বাজারে মজুত থেকে সরবরাহ ৪০ শতাংশ কমেছে। আগে বাজারে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পেঁয়াজ এলেও গত ১৫ দিনে তা কমে ২৫০ ট্রাকে নেমে এসেছে। খরিফ মৌসুমের লাল পেঁয়াজ বাজারে আসতে দুই মাস দেরি হচ্ছে। ফলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন শিরকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এ ছাড়া দুই বছরে কৃষকের ক্ষতি হওয়ায় এ প্রদেশগুলোতে খরিফ পেঁয়াজ বপন অনেকটাই কমে গেছে।
মন্তব্য করুন