কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মুতে বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

জম্মু বিমানবন্দর। পুরোনো ছবি
জম্মু বিমানবন্দর। পুরোনো ছবি

কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা সবশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ভারতের জম্মু বিমানবন্দর।

বৃহস্পতিবার (০৮ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু শহরের গুজ্জর নগর সেতুর কাছে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, তিনি জম্মু বিমান বন্দরের কাছে ১৬টি বস্তু পড়ে রয়েছে বলে গণনা করেছেন। অন্যদিকে একটি নিরাপত্তা সূত্র বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, বিস্ফোরণের সময় বাজার বন্ধ ছিল এবং তারা লোকজনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখেছেন। এ সময় সাইরেন বাজছিল এবং গোটা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, জম্মুতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া হামলার সময় শহরজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে।

এর আগে নয়াদিল্লি দাবি করে, ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বুধবার রাতভর ও বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়। তবে এসব হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে দেশটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার জানায়, পাকিস্তানের এই হামলার জবাবে ভারত পাল্টা আক্রমণে লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও অন্যান্য ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং পাকিস্তানের একাধিক স্থানের সামরিক স্থাপনা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

ভারতের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা হামলার জবাবে শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড়সহ একাধিক শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ভারত। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের রাডার ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘হারপি’ ও ‘হারোপ’ ড্রোন, যা মূলত রাডার সিস্টেম শনাক্ত করে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে ঝুলছিল বিচারকের স্ত্রীর লাশ

বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকির মুখে ভারত: খেলালে সব শেষ?

জবি শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

পাথর কোয়ারি বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল’

বিইউবিটিতে বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে সেমিনার

নতুন ভূমিকায় মিরাজ, ব্যাটিং অর্ডারেও আনছেন পরিবর্তন

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন চক্রান্তের পদধ্বনি : খতমে নবুওয়ত

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় / সাবেক দুই মন্ত্রীর স্বজনসহ ৫ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

১০

দুই দফা কমে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

১১

বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী

১২

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন সুস্মিতা রায়

১৩

ঢাবিতে রিকশাচালকের মৃত্যু 

১৪

বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মানছেন আসালাঙ্কা

১৫

জুনে এলো তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

১৬

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে আর নেই : জয়া আহসান

১৭

গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

১৮

যে খাবারগুলো ইচ্ছেমতো খেলেও বাড়বে না ওজন

১৯

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯০০ ফুট নিচে নেমেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান

২০
X