তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল বাংলাদেশ। একই অবস্থা প্রতিবেশী ভারতেও। তবে ভারতের কয়েকটি রাজ্যকে সুখবর দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। আগামী কয়েক দিন সেসব রাজ্যে ঝড়সহ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাপক বজ্রপাতের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আসাম ও মেঘালয় খুব শিগগির তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে চলেছে। কারণ, সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের উচ্চ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
পয়লা মে বৃষ্টি হতে পারে। ২ মে পর্যন্ত চলবে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়। এর পরের কয়েক দিনও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব অঞ্চল নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় বৃষ্টি হতে পারে।
আরও বলা হয়, অরুণাচল প্রদেশে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বজ্রঝড় হতে পারে। এ সময় দমকা হাওয়ার সঙ্গে কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাত হতে পারে।
অপরদিকে মঙ্গলবার কেরালা এবং অন্ধ্র প্রদেশে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সেসব এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আরও কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে এ আশা করা হচ্ছে।
সোমবার রাতের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বজ্রঝড় এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে মঙ্গলবারের জন্য একই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়েও বজ্রপাত এবং বজ্রপাতের সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে কলকাতার জন্য কোনো সুখবর নেই বরং সেখানে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। দিন দিন এখানকার পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হচ্ছে।
তথ্য বলছে, সোমবারের (২৯ এপ্রিল) চেয়ে বেশি গরম এর আগে একবারই কলকাতায় পড়েছিল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরে থাকা শহরের তাপমাত্রার নথি তেমনটাই বলছে।
সোমবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৮০ সালে শেষবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা এতটা উঠেছিল। সেই রেকর্ডকে ছুঁয়ে গেল সোমবারের কলকাতা। তবে শীর্ষস্থানে এখনো রয়ে গেছে ১৯৫৪ সালের ২৫ এপ্রিল। সে দিন কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, কলকাতায় ছিঁটেফোটা বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। আগামী পাঁচ দিন শহরের তাপমাত্রায় খুব একটা হেরফের হবে না। এ সময় হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন