ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মোট ২১ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সিনেট ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। এমনটি যেন ভবিষ্যতেও না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের টিম সচেষ্ট রয়েছে। কোনো বৈষম্য বা অনিয়ম দেখা দিলে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ড. জসীম উদ্দিন জানান, সোমবার থেকে প্রার্থীরা নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। ভোট দেওয়ার সময় হলে কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ প্রদর্শন করে ভোট দেওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় সিনেট হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদপ্রার্থী এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই সাবেক নেতার প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বায়েজিদ বোস্তামী।
ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বাতিলকৃত প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগসমূহ নিষ্পত্তির লক্ষে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনাল কমিটি বলেছে, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজিদ বোস্তামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকায় এবং এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান জিলানী ও মো. খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী কর্তৃক আনিত অভিযোগে যথাযথ প্রমাণাদি না থাকায় এবং অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর স্বাক্ষর না থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন