সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ করেছেন এক জনপ্রিয় ইউটিউবার। এরপরই বিপদের মুখে পড়েছেন তিনি। বুধবার (২২ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় আইনে জন্মের আগে সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। তবে স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ করেন দেশটির জনপ্রিয় ইউটিউবার ইরফান শারদ। ফলে আইন অমান্য করে লিঙ্গ প্রকাশ করে বড় বিপদে পড়েছেন তিনি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ নিষিদ্ধ হওয়ায় তা জানার জন্য সম্প্রতি দুবাই গিয়েছিলেন ইরফান ও তার স্ত্রী। খাবারের ভ্লগ করা এ তরুণের ইউটিউব চ্যানেলটি বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানে তার চ্যানেলে ৪২ লাখ ৯০ হাজার ফলোয়ার রয়েছে।
সম্প্রতি নিজের চ্যানেলে একটি ভিডিওতে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ করেন ইরফান। এ সময় তিনি সেখানে মেডিকেল টেস্টের ফুটেজও দেখান। তার এ ভিডিওটি অন্তত ২০ লাখ বার দেখা হয়েছে।
ভারতের আইনে লিঙ্গ প্রকাশ কেবল নিষিদ্ধ নয়, বরং এরজন্য সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান রয়েছে। লিঙ্গগত কারণে গর্ভপাত ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। একসময় ভারতে কন্যাশিশুকে অবহেলার চোখে দেখা হতো। ফলে জনসংখ্যার ভারসাম্য আনতে ১৯৯৪ সালে জন্মের আগে সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়। এ আইনের আওতায় ইউটিউবারকে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগ একটি নোটিশ পাঠিয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, আইনি ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপ কেবল তামিলনাড়ু নয়, সারা দেশেই কন্যাসন্তানের জন্মহার হ্রাস করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগ ইউটিউব থেকে ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য সাইবার নিরাপত্তা শাখা ও পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছে। তবে ইরফান জানান, তিনি ইতোমধ্যে ভিডিও সরিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের নোটিশ পেলে তার জবাব দেবেন তিনি।
এদিকে ইরফানের এ ভিডিও দেখে অনেকে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অন্যদিকে কেউ কেউ এমন আচরণের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেন, এমন ভিডিও সন্তানের লিঙ্গ জানতে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বাড়াতে পারে।
মন্তব্য করুন