কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরিয়া সীমান্তে সেনা জড়ো করল ইরাক, অনুমতি পেলেই হামলা

সীমান্ত এলাকায় ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা। ছবি : সংগৃহীত
সীমান্ত এলাকায় ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশে বিদ্রোহীদের হানায় ইরাকি কর্মকর্তাদের মনেও শঙ্কা জেগেছে। হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের আটকাতে পারছে না সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। একের পর এক শহরের দখলে নিচ্ছে তারা। রাশিয়া এবং সিরিয়ান বিমানবাহিনীর যৌথ প্রতিরোধও টিকেনি বিদ্রোহীদের গতি এবং সংকল্পের সামনে।

সিরীয় সেনারা প্রতিরোধ তো দূরের কথা, অনেকটা প্রাণ নিয়ে পালিয়েছে বলা যায়। সিরিয়ায় অবস্থানরত রুশ সেনারাও তেমন কিছু করতে পারছে না। এরই মধ্যে আলোপ্পো ও হামা শহর দখল নিয়ে এবার ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হোমস শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিদ্রোহীরা ।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, যে কোনো সময় পতন ঘটতে পারে হোমস শহরেরও। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত তা বুঝতে পাচ্ছে না রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক বা ইরাক। তবে প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় ইরাকি কর্মকর্তারা বেশি ভয়ে আছেন। বিশেষ করে, বিদ্রোহীদের নজর সিরিয়ার পর, ইরাকের দিকেও পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরাক।

ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ায় সেনা পাঠিয়ে অভিযান চালাতে পারে ইরাক। অবশ্য এ নিয়ে ইরাকি কর্মকর্তাদের মধ্যে দোটানা শুরু হয়েছে। সুন্নি বিদ্রোহীদের এই জোটের সঙ্গে আল কায়েদার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শিয়া-অধ্যুষিত ইরাক ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।

বিশেষ করে ২০০৩ সালে সিরিয়াভিত্তিক সুন্নি যোদ্ধারা ইরাক ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। তখন মার্কিন অভিযানে সাদ্দাম সরকারের পতন হলে ইরাক পুরোপুরি অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। আর এই অরাজকতার পেছনে রয়েছে সুন্নি যোদ্ধারা। মার্কিন হামলার ১০ বছর পর ২০১৩ সালে দায়েশের সঙ্গে মিলে সুন্নি যোদ্ধারা ইরাকের এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল দখল করে নেয়। এবারও তেমন কিছু ঘটতে পারে এমন বিশ্বাস ইরাকের শাসকগোষ্ঠীর। যদিও সিরিয়ার বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।

তবে বিদ্রোহীদের এমন আশ্বাসে বিশ্বাস নেই ইরাকি কর্মকর্তাদের। তাই সিরিয়া সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে তারা। পাশাপাশি পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের হাজার হাজার যোদ্ধাদের জড়ো করেছে তারা। এই গ্রুপটি এর আগে সিরিয়ার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।

ইরাকের আপাতত লক্ষ্য নিজেদের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমানার সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেই সমীকরণ যে কোনো সময় বদলে যেতে পারে। যদি হোমস শহর বা আসাদের পতন ঘটে এমনকি শিয়াদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা ঘটে, তাহলে সিরিয়ায় ঢুকে পড়বে ইরাকি বাহিনী।

ইরাক সরকার বলছে, তারা সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করবে না। তবে ইরাক হচ্ছে বাগদাদের জন্য লাল রেখা। এরই মধ্যে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শত শত ইরাকি যোদ্ধা সিরিয়া ঢুকে পড়েছে। তারা ইরাকি ও দেশটিতে থাকা লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে মিলে আসাদ বাহিনীর হয়ে লড়বে।

কিন্তু ইরাক থেকে এখনও গণহারে যোদ্ধাদের প্রবেশের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানিও আঞ্চলিক এই সংঘাতের চক্রে পড়তে চাইছেন না বলে মনে করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অঝোরে কাঁদলেন মনির খান

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির শোক

রুমিন-নীরবসহ ৯ নেতাকে দুঃসংবাদ দিল বিএনপি

যে কারণে বহিষ্কার হলেন রুমিন ফারহানা

ছাত্রদল কর্মীকে ডেকে নিয়ে হত্যা

‘এত শীতে মানুষ কেমনে বাঁচে, পাতলা ক্যাঁথায় ঘুমই আইসে না’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ নাসিমন ভবন

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের শোক

খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

১০

থার্টিফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম যা বলে

১১

মনোস্পুল বাংলাদেশ পিএলসির ৩৮তম এজিএম অনুষ্ঠিত, ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

১২

মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসির ৩৬তম এজিএম অনুষ্ঠিত, ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

১৩

রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার

১৪

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শরীয়তপুরে কোরআন খতম ও দোয়া

১৫

‎খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মাসুদ সাঈদীর গভীর শোক প্রকাশ

১৬

সাইনবোর্ডে আটকে আছে ব্রাহ্মণপাড়ার ফায়ার স্টেশন 

১৭

খামারির হাত-পা বেঁধে ১২ গরু লুট  ‎

১৮

খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে ঢাকা আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৯

এনসিপি থেকে আরেক নেতার পদত্যাগ

২০
X