কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাশার আল আসাদের পতন, নেপথ্যে কী?

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতন, নেপথ্যে কী? ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতন, নেপথ্যে কী? ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মাধ্যমে।

২৭ নভেম্বর আলেপ্পোতে বিদ্রোহীরা অভিযান শুরু করার পর মাত্র ১২ দিনের মধ্যে দামেস্ক পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আক্রমণের ফলে শুধু আসাদের পতন হয়নি, বরং তার বিদেশি মিত্র রাশিয়া ও ইরানও সামরিক ও কৌশলগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাশিয়া ও ইরান দীর্ঘদিন ধরে আসাদ সরকারকে সমর্থন করে আসছিল। রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়ে বিদ্রোহীদের দমন করত এবং ইরান সরাসরি সৈন্য ও সামরিক উপকরণ পাঠাত। তবে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সামরিক শক্তি ও মনোযোগ কমে গেছে।

এদিকে, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলায় দুর্বল হয়েছে, যার ফলে তারা সিরিয়া থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এ কারণে, সিরিয়ায় আসাদের সরকারের প্রতি বিদেশি সমর্থন কমে গেছে এবং বিদ্রোহীরা তা কাজে লাগিয়ে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে।

বিদ্রোহীরা আলেপ্পো দখলের পর হামা, হোমস এবং শেষ পর্যন্ত দামেস্কে প্রবেশ করে। প্রেসিডেন্ট আসাদ এক অজানা গন্তব্যে পালিয়ে যান। এটি তার শাসনের শেষ অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসাদ সরকারের পতনকে অনেকেই সিরিয়ায় ৫৪ বছর ধরে চলা বাথিস্ট শাসনের অবসান এবং নতুন এক যুগের সূচনা হিসেবে বিবেচনা করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসাদের পতনের প্রধান কারণ তার বিদেশি মিত্রদের দুর্বল হয়ে যাওয়া। রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্ত হওয়া এবং ইরান গাজার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার ফলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়ায় কৌশলগত আক্রমণ চালিয়েছে এবং বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।

বিদ্রোহীরা সিরিয়ার ভবিষ্যতকে একটি নতুন, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সিরিয়া এখনো অস্থিতিশীল এবং দেশটির ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিশ্চিত নয়।

যদি রাশিয়া ও ইরান সম্পূর্ণভাবে পিছু হটে, তবে সিরিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য আরও পরিবর্তিত হতে পারে। সিরিয়ার জনগণের জন্য এটি হয়তো মুক্তির বার্তা, কিন্তু স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

মির্জা আব্বাসের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভিপি সাদিক কায়েম

‘দেশের অগ্রযাত্রায় প্রবাসী তরুণদের জ্ঞান-প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে যুক্ত করতে হবে’

বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা

চায়ের দোকানে বিমান হামলা, নিহত ১৮

ববি ছাত্রদলের নেতৃত্বে মোশাররফ-শান্ত-মিজান

ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই প্যান্ডেল ভাঙচুর

কুলদীপ–প্রসিধের চার উইকেট, জয়সওয়ালের শতকে সিরিজ ভারতের

সামনের নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে’, প্রেস সচিবের ‘রহস্যময়’ পোস্ট

১০

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ পুনর্নির্বাচিত

১১

ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যাপক ধরপাকড়

১২

বুসকেটস–আলবার বিদায়ক্ষণে মেসির ‘আরেক ফিনালিসিমা’

১৩

ব্রাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাতিলের আবেদন

১৪

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

১৫

খালেদা জিয়া নীতির প্রশ্নে আপস করেননি : খায়রুল কবির

১৬

বিশ্বকাপ ড্র ঘিরে আলোচনায় বাবা ভাঙার ‘উদ্বেগজনক’ ভবিষ্যদ্বাণী

১৭

ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে

১৮

অহিংস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শরীয়তপুর গড়ে তুলব : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১৯

বাবা হওয়ার পর মেহরাবের নতুন গানের ঘোষণা

২০
X