লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক… ধ্বনিতে মুখরিত মিনার উপত্যকা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ১৫ লাখের বেশি হাজি এ প্রান্তে উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার (০৪ জুন) তাদের উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। এবারও ১০০ দেশের দুই হাজারের বেশি রাষ্ট্রীয় অতিথি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখুঁত ও নিরবচ্ছিন্ন প্রস্তুতির ফলে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে হাজিদের আগমন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকালে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিক সূচনার দিন (ইয়ামুত তারওইয়া) হাজিরা মিনায় পৌঁছেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবছর হজে অংশ নিচ্ছেন এক দশমিক ৪৭ মিলিয়নের বেশি আন্তর্জাতিক হাজি। এছাড়া তাদের সাথে আরও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় হাজিও যোগ দিয়েছেন। এবার ১০০টি দেশের দুহাজার ৪৪৩ জন সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় অতিথি রয়েছেন। এসব হাজি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে হজ পালনে এসেছেন।
মঙ্গলবার মক্কায় পৌঁছানো হাজিরা প্রথমে তাওয়াফ আল কুদুম (আগমনের তাওয়াফ) পালন করেন। এরপর তারা মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন, যেখানে তারা তারওইয়ার দিবসের দিন ও রাত কাটান। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ঐতিহ্য অনুসরণ করে হাজিরা এখানে ইবাদতে মগ্ন থাকেন এবং বৃহস্পতিবার আরাফার ময়দানে অবস্থানের (ওকুফ) প্রস্তুতি নেন।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, মিনায় হাজিদের পৌঁছাতে আট হাজারের বেশি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব বাস মক্কার বিভিন্ন আবাসন কেন্দ্র থেকে তাদের নিয়ে এনেছে। হাজিদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে সৌদি আরবের শতাধিক সংস্থা এবং দুই লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। হাজিদের চলাচল ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও ড্রোন নজরদারি ব্যবস্থা।
চলতি বছর হজ পালিত হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে। গরমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এবং পানি পান, হালকা রঙের হালকা পোশাক পরিধান ও রোদ থেকে নিজেকে রক্ষার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। হাজিদের সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি রোদের সংস্পর্শ এড়াতে এবং গরম পিচে হাঁটা ও অতিরিক্ত পরিশ্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন