মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রবিরতিকরণ আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে ইরানে হামলা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র আশঙ্কা করছে। এবারের হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও। নতুন এ যুদ্ধের দামামার মধ্যেই কমল জ্বালানি তেলের দাম।
রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে। এশিয়ার ট্রেডিং সেশনের আগে ঊর্ধ্বমুখী দামের বিপরীতে এমন বাজার দেখছে বিশ্ব।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার ৪৯ সেন্ট বা ০.৭% কমে ব্যারেল প্রতি ৬৯.২৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেখানে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ৪১ সেন্ট বা ০.৬% কমে ব্যারেল প্রতি ৬৭.৭৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
একদিন আগে ব্রেন্ট এবং ডব্লিউটিআই উভয়ের দাম ৪% এরও বেশি বেড়ে এপ্রিলের শুরুর চেয়ে সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে কারণ মধ্যপ্রাচ্য একটি বিপজ্জনক জায়গা হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে দেবে না। যদিও ইরান বলে আসছে তাদের পারমাণবিক কার্যকলাপ শান্তিপূর্ণ।
ইরানের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা তেল সরবরাহে ব্যাঘাতের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। পক্ষগুলো রোববার (১৫ জুন) বৈঠকে বসতে চলেছে। ওই বৈঠক ব্যর্থ হলে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে যেতে পারে।
কমনওয়েলথ ব্যাংক অস্ট্রেলিয়ার খনি ও জ্বালানি পণ্য গবেষণার পরিচালক বিবেক ধর বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কিছু কারণে ব্রেন্ট ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারের উপরে চলে গিয়েছিল, তা অতিরঞ্জিত ছিল। ইরানের আক্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট হুমকি চিহ্নিত করেনি। তেলসংশ্লিষ্টরা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন