নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কর্মী এবং তাদের উপর নির্ভরশীলদের ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সরকারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ঠিক কী কারণে এই অপসারণের কারণ তা বলেননি কর্মকর্তারা। তবে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছে ইসরায়েল ইরানে অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত। তাই অপ্রয়োজনীয় দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (১১ জুন) কর্মী সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবারও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই কারণেই কিছু আমেরিকানকে এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইরান ইরাকের কিছু মার্কিন স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন আলোচনা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে স্থগিত হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।
সিবিএস-কে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ রোববার (১৫ জুন) ইরানের সাথে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন। উইটকফ মাস্কাটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাথে দেখা করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, আমরা আমাদের সকল দূতাবাসে কর্মীদের অবস্থান ক্রমাগত মূল্যায়ন করছি। আমাদের সর্বশেষ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে আমরা ইরাকে আমাদের মিশন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ করে। তারা কিছুতেই চায় না তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন করুক। এ জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়। আলোচনায় প্রস্তাব আসে, সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধের বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। সে সঙ্গে হুমকি আসে, আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এ পরিস্থিতিতে পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইরান। সংঘাত বাঁধলে দেশটি আশপাশের সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাবে। সেসব ঘাঁটি কোন দেশে অবস্থিত সেটাও বিবেচনা করবে না আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দেশ। এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে।
বুধবার (১১ জুন) ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কোনো সংঘাত বাধে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে এ অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে হবে। কারণ তাদের সব সামরিক ঘাঁটিই আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংঘাত হলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সব ঘাঁটিতে হামলা চালাব, সেগুলো যেসব দেশে অবস্থিত, সে দেশগুলোর কথা বিবেচনা না করেই।
মন্তব্য করুন