ইরানের সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮টি ‘শত্রু বিমান’ শনাক্ত ও প্রতিহত করার দাবি করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল গুপ্তচর ড্রোন, যা সংবেদনশীল স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সামরিক বাহিনী আগেও দাবি করেছিল- তারা ইসরায়েলের একাধিক এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার জেট এবং অন্যান্য ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে, এই দাবিগুলোর সমর্থনে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ, যেমন ধ্বংসাবশেষের স্যাটেলাইট ছবি বা নিরপেক্ষ সূত্রের যাচাই, ইরান প্রকাশ করেনি।
অন্যদিকে, ইসরায়েল এই দাবিগুলোকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘প্রচারণামূলক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানে তাদের চলমান অভিযানে কোনো বিমান বা ক্রু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
আইডিএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফ্রিন জানান, ইসরায়েল তেহরানের আকাশে সম্পূর্ণ বিমান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
উলেখ্য, ইসরায়েল ১৩ জুন থেকে ইরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে। যার মধ্যে এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ব্যবহার করে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে। ইরানও পাল্টা হামলা হিসেবে ইসরায়েলে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
এদিকে ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি কোথায় খামেনি লুকিয়ে রয়েছেন তা শনাক্ত করার দাবি করেছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদে আছেন- আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা চাই না ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর হামলা হোক। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।
মন্তব্য করুন